নয়াদিল্লি: দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের টিকা বন্টন প্রক্রিয়া। এমনকি টিকাকরণের প্রথম ধাপ পেরিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদানও। টিকাকরণ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাদির জন্য সরকারের তরফ থেকে কোউইন অ্যাপে চোখ রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু অ্যাপে করোনা যোদ্ধাদের কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াকে ঘিরে এবার উঠে এল নানা অভিযোগ।
টিকা নেওয়ার কথা ছিল সকালে, কিন্তু স্মার্টফোনে যখন মেসেজ এল তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে! কোউইন অ্যাপের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এদিন এমনই সব অভিযোগ উঠল করোনাযোদ্ধাদের তরফ থেকে। উত্তরপ্রদেশ হোক, কিংবা কলকাতা দিনভর হয়রানির শিকার হলেন পুলিশ কর্মী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী সকলেই। এমনকি অনেকেই টিকা নেওয়ার সুযোগও হারালেন শুধুমাত্র অ্যাপের গন্ডগোলের জন্য। সম্প্রতি শুরু হয়েছে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের বন্টন। যাঁরা প্রথমবার টিকা নিয়েছেন এই দ্বিতীয় ডোজ তাঁদের জন্য খুবই দরকারি। ফলে টিকা নিতে না পারায় করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে উদ্বেগের ছবিটাও রীতিমতো স্পষ্ট।
বস্তুত, করোনা টিকাকরণের বিষয়ে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে কোউইন মোবাইল অ্যাপ। এর মাধ্যমেই টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারেন মানুষ। সেই সঙ্গে কবে কখন টিকাকরণের দিন ধার্য হয়েছে ইত্যাদি সংক্রান্ত যাবতীয় নোটিফিকেশন মোবাইল ফোনেই চলে আসার কথা এই অ্যাপের মাধ্যমে। কিন্তু জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টিকাকরণ দ্বিতীয় মাসে পা দিতেই অ্যাপ নিয়ে অভিযোগের বন্যা দেশ জুড়ে। শুধুমাত্র ভুল সময়ে নোটিফিকেশন আসাই নয়, টিকা গ্রহীতার নাম ও অন্যান্য তথ্য ভুল থেকে শুরু করে ধীরগতির কার্যপদ্ধতি, সবরকমের হয়রানির মুখোমুখিই হয়েছেন অ্যাপ ব্যবহারকারী জনতা।
এ প্রসঙ্গে এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, “যাঁরা ভ্যাকসিন নেবেন তাঁদের কাছে মেসেজ নোটিফিকেশন পাঠানোর জন্য একটি বিশেষ বোতাম রয়েছে। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই তা ঠিক মতো কাজ করছে না। উল্লেখ্য, আগামী ১ মার্চ থেকে দেশের ষাটোর্ধ্ব প্রবীন নাগরিকদের টিকাকরণের কথা ঘোষণা করেছে সরকার।