কেরালা: একই বাড়িতে ২ মহিলা করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খবর দেওয়া হলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসতে অনেকটা রাত হয়ে যায়। এরপর অ্যাম্বুলেন্স এলে ওই দুই মহিলাকে নিয়ে রওনা হয় চালক। এক মহিলাকে কাছাকাছি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেড না থাকার জন্যে দ্বিতীয় মহিলাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা নির্দেশ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর দ্বিতীয় মহিলাকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক রওনা হয় অন্য হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। কিন্তু মাঝপথে নির্জন জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে ওই মহিলার শ্লীলতাহানি করে চালক। দেওয়া হয় হুমকি৷
ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার পাঠনমথিট্টা জেলায়। হুমকি পেয়েও ওই তরুণী ঘটনাটি চেপে না গিয়ে হাসপাতালে পৌঁছেই কর্তৃপক্ষের কাছে খোলসা করেন। এরপর কর্তৃপক্ষ তরফে পুলিশকে জানানো হলে অভিযুক্ত চালককে পুলিশ আটক করে। নীতি অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যেতে হয় করোনা আক্রান্তদের। অন্য কোনও স্বাস্থ্য কর্মী না থাকায় ওই চালকের ভরসায় দুই মহিলাকে অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে হয়। সেক্ষেত্রে একজনকে আগেই ভর্তি করে দেওয়ায় চালক৷ দ্বিতীয় তরুণীকে একা পেয়ে এই কাণ্ড ঘটায়।
পুলিশ জানিয়েছে ২৯ বছর বয়সী ওই চালকের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। তা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ওই চালককে কেন কাজে নিয়োগ করেছিল সেই ব্যাপারে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই কেরালার স্বাস্থ্য মন্ত্রক কড়া সতর্কতা জারি করেছেন। তারা নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিটি অ্যাম্বুল্যান্সে কমপক্ষে দুই জন স্বাস্থ্যকর্মীকে উপস্থিত থাকতে হবে। মহিলাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাশাপাশি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালিয়ে যেতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রক তরফে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় কেরালার প্রধান বিরোধী দল বিজেপি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে।