নয়াদিল্লি: সামনে বিহার বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই জেডিইউ, এলজেপি ও বিজেপি জোট তৈরি করে লড়বে৷ বিহার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় একথা বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েদিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। এনডিএ-তে থাকা অবস্থাতেও ঝাড়খণ্ড ভোটে আলাদা ভাবেই লড়েছিল এলজেপি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের সঙ্গে লোকজনশক্তি দলের নেতা চিরাগ পাসোয়ানের টুইটারে মতবিরোধ দেখা যায়। এরপরেই আসন্ন নির্বাচনে এই তিন দল জোট বেঁধে লড়বে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। রবিবার ভার্চুয়াল বৈঠকে জেপি নাড্ডার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বিহার ভোটে জোট বাঁধতে চলেছে বিজেপি, জেডিইউ ও এলজেপি।
বিহারে জায়গা কায়েম রাখা নিয়ে জেপি নাড্ডার বক্তব্য, ‘বিহার সহ গোটা দেশেই বিরোধীদের অবস্থা সংগিন। সেক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থ বজায় রাখতে পারে একমাত্র শাসক দলই। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নির্দিষ্ট কোনও লক্ষ্য নেই, ফলে তারা কীভাবে মানুষের কাজ করবে তাও জানে না। রাজনীতির বাইরে তারা অন্যকিছুকেই প্রাধান্য দিতে পারে না।’ রবিবারের সভায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশের নেতৃত্বে ওই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রশংসা করেন জেপি নাড্ডা। পাশাপাশি বন্যা মোকাবিলা ও করোনা মোকাবিলাকে নির্বাচনে ইস্যু করার কথাও বলেন তিনি। এর পাশাপাশি করোনার জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকার যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তাও ভোটের ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন নাড্ডা।
চলতি বছর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। করোনার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই গাইড লাইন প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেও জোট পক্ষ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। বিজেপি তরফে জানানো হয়েছে কমিশনের সিদ্ধান্ত সব সময়েই শিরোধার্য।এদিকে বাংলার নির্বাচনে বিজেপির কোনও মুখ নেই, একথা অস্ফুটে শিকার করেছেন কৈলাস বিজয় বর্গী। তাঁর কথায়, নেতৃত্ব হিসাবে নরেন্দ্র মোদীই সামনে থাকবেন। ফলাফলে জয় হলে দল থেকেই বিধায়করা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক ব্যক্তিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্ধারন করা হবে।