বিধানসভায় পাশাপাশি নওসাদ-শওকত, হাসিমুখে চলল দাদা-ভাইয়ের বাগযুদ্ধ

বিধানসভায় পাশাপাশি নওসাদ-শওকত, হাসিমুখে চলল দাদা-ভাইয়ের বাগযুদ্ধ

কলকাতা: পঞ্চায়েতের মনোনয়নপর্বে সবচেয়ে বেশি শিরোনাম কেড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ভাঙড়৷ মনোনয়নের শেষ দিন কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তিনটি খুন হয় বিডিও অফিসের সামনে৷ অনেকে বলেন, ভাঙড়ে যতটা লড়াই তৃণমূল বনাম ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর, ঠিক ততটাই শওকত মোল্লার সঙ্গে নওসাদ সিদ্দকির। শওকত ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক হলেও তিনি ভাঙড়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক। আর নওসাদ হলেন ভাঙড়েরই বিধায়ক। সেই যুযুধান দুই নেতাকে এদিন একসঙ্গে একফ্রেমে পাওয়া গেল বিধানসভার বারন্দায়। সাংবাদিকরা তাঁদের ঘিরে ধরতেই হাসিমুখে বাকযুদ্ধ চালিয়ে গেলেন দু’জনে৷ 

গত দুই বছরে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে নানা খবর পরিবেশিত হয়েছে। সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনাতেও তাঁরা পরস্পরকে আক্রমণ করেছিলেন৷ ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেছিলেন, ‘‘নওশাদ সমাজবিরোধী। ভাঙড়ে যবে থেকে এসেছে অশান্তি করে যাচ্ছে।’’ পাল্টা ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা বলেছিলেন, ‘‘গুন্ডাবাহিনী নিয়ে ক্যানিং থেকে ভাঙড়ে এসেছেন শওকত মোল্লা।’’

এদিন সাংবাদিকরা নওসাদকে প্রশ্ন করেন, ভাঙড়ে কি শান্তিপূর্ণ ভোট হবে? জবাবে হাসি মুখে তখন দাঁড়িয়ে শওকত৷ তাঁকে দেখিয়ে আইএসএফ বিধায়ক বলেন, ‘বড় দাদা আছেন। আমি আশা করব উনি আমাকে বড় দাদা হিসাবে গাইড করবেন৷’

একই প্রশ্ন শওকতকে করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নওসাদভাইকে বলব, ভাঙড়ে বেশি গন্ডগোল না করতে।’ নওসাদও পাল্টা জবাব দেন৷ ঠোঁটের কোণে হাসি রেখে তিনি বলেন, ‘‘বড় দাদা সবটা জানেন, কোথা থেকে লোক নিয়ে আসছেন, কারা গন্ডগোল করছেন, সব দাদা জানেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের বাইরে থেকে লোক আনার প্রয়োজন হয় না। ভাঙড়ের মানুষই যথেষ্ট।’’

এদিকে তৃণমূল নেতা শওকত বলেন, ‘‘আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে। শান্তিস্থাপনের পক্ষেই আমরা কাজ করে যাব। ওরা (নওশাদ) যদি ভাঙড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় তা হলে আমরা সবসময় রাজি।’’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 12 =