গ্রাম জুড়ে পোস্টারে ছয়লাপ! না ভোট প্রচারের নয়, এই পোস্টার ভোট বয়কটের। মালদার গাজল ব্লকের দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড় জগদীশপুর ,দোআঁশ এলাকা জুড়ে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। এলাকায় পানীয় জল, পাকা রাস্তা, পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে পোস্টার দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তবে শুধু ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েই অবশ্য থেমে থাকেন নি গ্রামবাসীরা, সালিসিসভা ডেকে বলে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতে ভোট দিলে মোটা অঙ্কের জরিমানাও গুনতে হবে। ‘বয়কট’ হুঁশিয়ারি না মানলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে গ্রামবাসীদের। ভোটের মুখে ভোট বয়কটের খবর নতুন না হলেও, জরিমানার ঘটনা অবশ্য বেনজির। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত?
স্থানীয়দের অভিযোগ, জগদীশপুর ,দোআঁশ অঞ্চলে পানীয় জল, রাস্তার সমস্যা দীর্ঘদিনের। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাফেরার অযোগ্য হয়ে ওঠে গ্রামের রাস্তা। দীর্ঘ ৫০বছরের বেশী সময় ধরে পরিস্থিতি পরিবর্তন হয় নি। ভোট আবহে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের মুখে প্রতিশ্রুতি মিললেও সমস্যার সমাধান আজ পর্যন্ত হয় নি। তাই এবছর বয়কট নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামে পানীয় জলেরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। একটি মাত্র সাব মার্সেবল থাকলেও কারেন্ট না থাকলে সেটাও বন্ধ হয়ে পড়ে। তখন পুকুরের জলই একমাত্র ভরসা।
অন্যদিকে, ভোট বয়কটের হুমকি দিয়ে পথ অবরোধে সামিল হল জলপাইগুড়ির নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশকান্দি এবং সুভাষ পল্লীর বাসিন্দারা। বুধবার সকালে মন্ডলঘাট- হলদিবাড়ি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ১৭/২১৩ নম্বর বুথের বাসিন্দারা। এলাকায় রাস্তা,সেতু এবং পানীয় জলের দাবি জানিয়ে এই রাস্তা অবরোধ। এলাকাবাসীদের অভিযোগ ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু পরিস্থিতি বদলায় না। স্থানীয় খড়খড়িয়া নদীর উপর সেতু না থাকায় যাতাযাতে সমস্যায় পড়তে হয় বাসিন্দাদের। গত বছর সেতুর শিলান্যাস হলেও, আজ পর্যন্ত তৈরি হয়নি সেই সেতু সাঁকো দিয়ে চলছে ঝুঁকির পারাপার।
গ্রামবাসীদের দাবি, বেহাল রাস্তা, বিচ্ছিন যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আত্মীয় পরিজনরা যেমন গ্রামে আসা বন্ধ করেছেন, তেমনই ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতে গিয়েও সমস্যা হচ্ছে। সেতু, রাস্তা, পানীয় জলের ব্যবস্থা না হলে ভোট দেবেন না বলেই হুশিয়ারি দিয়েছেন এলাকাবাসী। অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানার পুলিশ। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলেন তাঁরা।]