উপসর্গ নেই? গুরুতর অসুস্থ নন? টেস্টের প্রয়োজন আছে কি? জানিয়ে দিল ICMR

উপসর্গ নেই? গুরুতর অসুস্থ নন? টেস্টের প্রয়োজন আছে কি? জানিয়ে দিল ICMR

নয়াদিল্লি:  দেশের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক৷ ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছ সংক্রমণ৷ প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো বাড়াবাড়ি রকমের শারীরিক উপসর্গ এবার দেখা না গেলেও, চিকিৎসকরা বলছেন সতর্ক থাকতে৷ এর মধ্যে আরও একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে আইসিএমআর৷ নতুন করে গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য আরও কড়া বিধিনিষেধ, বদলে গেল দেশের মধ্যে ভ্রমণের নিয়মও

বলা হয়েছে, আপনি যদি এর মধ্যে করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকেন কিন্তু, গুরুতর অসুস্থ না হন তাহলে কোভিড পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই৷  কোভিড রোগীর সংস্পর্শে আসার পরেও যাঁদের শরীরে কোনও উপসর্গ নেই,  কোভিড সেন্টার বা হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে এবং যাঁরা আন্তর্দেশীয় সফর করছেন, তাঁরা যদি গুরুতর অসুস্থ না হন তাহলে কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। অন্য রাজ্য থেকে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও পরীক্ষার প্রয়োজন নেই৷ 

দেশে যখন গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে, তখন উপসর্গহীনদের পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই বলেই জানাচ্ছে আইসিএমআর। আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের ক্ষেত্রেও নতুন করে পরীক্ষা করানোর কোনও প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সর্দি-কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, স্বাদ-গন্ধ না পাওয়া, শ্বাসকষ্ট তথা ফুসফুসের সমস্যা থাকলে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। এই সঙ্গে বিদেশি যাত্রী, যাঁরা বিমানে, জাহাজে বা সড়ক পথে ভারতে আসছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক৷

সেই সঙ্গে কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অস্ত্রোপচার বা সন্তান প্রসবের মতো জরুরি স্বাস্থ্য প্রক্রিয়া কোনও ভাবেই কোভিড পরীক্ষার জন্য ফেলে রাখা যাবে না৷ উপরোক্ত উপসর্গগুলি তীব্রভাবে দেখা না দিলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সবকিছু চলবে। আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা৷ সাফ জানানো হয়েছে, জিনোম সিকোয়েন্সিং সকলের জন্য নয়। রোগীর চিকিৎসার সঙ্গেও এর কোনও সম্পর্ক নেই। কোন রোগীর জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে,  সেই সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসক। 

পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, আপাতত টেস্টিংয়ের উপর চাপ কমাতে চাইছে কেন্দ্র৷ কারণ যে পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে অত বেশি পরীক্ষা করানোর মতো পরিকাঠামোও বর্তমানে নেই। তবে কেন্দ্রের নির্দেশিকা সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনের ওয়াকিবহাল হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে সমস্যার সৃষ্টি হবে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 3 =