নাগপুর: এবার বাড়িতে বসেই আরও সহজে করা যাবে কোভিড ১৯ পরীক্ষা৷ শুধু গার্গেল করলেই মাত্র তিন ঘণ্টায় হাতে আসবে করোনা রিপোর্ট। নাগপুরের ন্যাশনাল এনভারনমেন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এই পদ্ধতির আবিষ্কর্তা৷
কোনওরকম সোয়াব সংগ্রহ করার ঝামেলা নেই এই পদ্ধতিতে৷ এই পদ্ধতি ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল দ্বারা অনুমোদিত৷ করোনা পরীক্ষার জন্য আবিষ্কৃত এই পদ্ধতির নাম দেওয়া হয়েছে স্যালাইন গার্গেল আরটিপিসিআর মেথড। কোভিড পরীক্ষার ক্ষেত্রে এর একাধিক উপকারিতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। প্রথমত, পরীক্ষা করার পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ৷ দ্বিতীয়ত, রিপোর্ট পাওয়া যাবে খুব দ্রুত মাত্র তিন ঘণ্টায়। তৃতীয়ত, এই পরীক্ষা করতে গ্যাঁটের কড়ি কম লাগবে। এছাড়া সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষা করাতে যাঁরা বিরক্তি প্রকাশ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি পদ্ধতি অনেক বেশি সহজ হবে। এমনকি কোনও ব্যক্তি ল্যাব কর্মীর সাহায্য ছাড়াই এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করতে পারেন৷
গ্রাম এবং আদিবাসী এলাকায়, যেখানে চিকিৎসা পরিকাঠামো অনুন্নত এবং স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব, সেখানে অতি অনায়াসে বেশি পরিমাণে করোনা টেস্ট সম্ভব হবে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে। এই কিটের মধ্যে পরীক্ষার জন্য থাকছে একটি টিউবে স্যালাইন৷ সেই জলে ১৫ সেকেন্ড গার্গেল করে টিউবটিতে মুখের জল রেখে দিতে হবে। এরপর সেটা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠাতে হবে৷ ল্যাবে এর মধ্যে ন্যাশনাল এনভারনমেন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকদের তৈরি একটি বাফার মেশানো হবে এবং ৩০ মিনিটের জন্য স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হবে। তারপরই আরটিপিসিআর প্রক্রিয়ায় করোনা রিপোর্ট পাওয়া যাবে৷ কেউ চাইলে স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতিতে নিজে হাতেই এই পরীক্ষা করতে পারবেন। ফলে প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
নাগপুরের ন্যাশনাল এনভারনমেন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র গবেষক কৃষ্ণ খেরনান বলেন, ‘সোয়াব সংগ্রহ করতে অনেক সময় লাগে। তাছাড়া এই পরীক্ষা করাতেও অনেকে বিরক্তি প্রকাশ করেন। সোয়াব সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠাতেও বেশ খানিকটা সময় লাগে। কিন্তু স্যালাইন গার্গেল আরটিপিসিআর মেথডে সেসব ঝক্কি নেই। মাত্র তিন ঘণ্টাতেই কোভিড রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার, যা দেশের কোভিড ১৯ পরীক্ষা দ্রুত সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে৷