নেতা-মন্ত্রীরা লাইনে দাঁড়ালে টিকা তো কম পড়বেই, কটাক্ষ দিলীপের

নেতা-মন্ত্রীরা লাইনে দাঁড়ালে টিকা তো কম পড়বেই, কটাক্ষ দিলীপের

কলকাতা:  রাজ্যে টিকাকরণ শুরু হতেই প্রথম দিন ভ্যাকসিন নেন তৃণমূলের দুই বর্তমান ও এক প্রাক্তন বিধায়ক৷ যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক৷ কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক ও পুর প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল ও প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরার পর এই বিতর্কে জড়াল বারাকপুরের পুরসভার প্রশাসক ও তৃণমূল নেতা উত্তম দাসের নাম। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যাবহারের অভিযোগ তুলেছে বিজিপি৷ 

আরও পড়ুন- ‘এবার ভ্যাকসিন চুরি করছে তৃণমূল’! তীব্র কটাক্ষ বিজয়বর্গীয়র

ভ্যাকসিন বিতর্কে এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেন, ‘‘চাল কয়লার মতো রাজ্যে ভ্যাকসিনও লুঠ হচ্ছে৷ দিদিমণি বলছেন ভ্যাকসিন কম দিয়েছে৷ কিন্তু দেখা গেল ভ্যাকসিনের বাক্স খোলার আগেই দিদির বিধায়ক, কাউন্সিলার, জেলা পরিষদের সদস্যরা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷ নেতা-বিধায়করা যদি ভ্যাকসিন নিয়ে নেয়, তাহলে ভ্যাকসিন তো কম পড়বেই৷’’ 

তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, ‘‘দিদির ভাইরা এত টাকা পয়সা লুঠ করে বাড়ি-গাড়ি বানিয়েছেন৷ যদি কোভিড হয়ে তাঁরা মারা যান, সেই ভয়েই আগে ভাগে ভ্যাকসিন নিয়ে নিচ্ছেন৷’’ দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘সাধারণ মানুষের টাকা পয়সা নিয়েছে, রেশন নিয়েছে, কাটমানি নিয়েছে, এখন ভ্যাকসিনও নিয়ে নিচ্ছে৷ লুঠ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ভ্যাকসিন লুঠের সরকার আর চলতে পারে না৷’’  

দিলীপ ঘোষকে পাল্টা একহাত নেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার পশ্চিম বাংলার প্রতিটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে চায়৷ কিন্তু ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার৷ কেন তা জানা নেই৷ সরবরাহের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা হয়েছে৷ এখানেও রাজনীতি করা হচ্ছে৷ রাজ্য সরকার খরচ বহন করবে৷ কিন্তু ভ্যাকসিনটা দেওয়া হোক৷’’ 

আরও পড়ুন- নেতাজির জন্মদিনে মোদী-মমতা টক্কর দেখবে রাজ্য, তুঙ্গে উত্তেজনা

প্রসঙ্গত, গতকাল রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়,  সুভাষ মণ্ডল, বনমালী হাজরার পাশাপাশি বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে করোনার টিকা নেন পুর প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা উত্তম দাস৷ এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা৷ বিজেপি’র কটাক্ষ, স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণ হওয়ার কথা৷ কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে টিকা নিচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা৷ পুর প্রশাসকের পাল্টা দাবি জনপ্রতিনিধিদের থেকেই জনগণ শেখে৷ তাঁর নাম তালিকায় ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে৷ আবার স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি কমিটিতে রয়েছে তিনি৷ সেই হিসেবেও তিনি করোনা যোদ্ধা৷ তাই টিকা নিয়েছেন৷ 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *