আইসল্যান্ড: বিজ্ঞান প্রযুক্তির অগ্রগতিতে মানুষ পৌঁছে গেছে চাঁদে, মঙ্গলে, কিন্তু প্রকৃতির রোষের মুখে আজও সমানভাবে অসহায় মানবসভ্যতা। প্রকৃতির যে সমস্ত দুর্যোগ আগে থেকে সতর্কতা ছাড়াই মানুষের কাছে নিয়ে আসে চরম বিপর্যয়, তার মধ্যে অন্যতম হল আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত। সম্প্রতি প্রকৃতির সেই অগ্নিময় রোষের মুখেই পড়েছে ‘বরফের দেশ’ আইসল্যান্ড।
গত এক মাসে প্রায় ৪০ হাজার ভূমিকম্পের সাক্ষী থেকেছে পশ্চিম ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ড, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। প্রকৃতির এই ব্যাপক রুদ্রমূর্তির কারণ আর কিছুই নয়, আগ্নেয়গিরি। জানা গেছে, আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিক থেকে খুব কাছেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে আগ্নেয়গিরি, যার অগ্নুৎপাতের ফলে দিশাহারা এই ছোটো দেশটি। আগ্নেয়গিরিতে ঘেরা আইসল্যান্ডে অগ্নুৎপাত এবং তার ফলে সংঘটিত ভূমিকম্পের ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু জনবসতির এত কাছে আগ্নেয়গিরির এই অতি সক্রিয়তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের।
সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে আইসল্যান্ডে ঠিক এভাবেই লাগাতার অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় ১ থেকে ২ হাজার ভূমিকম্প হয়েছিল ছোটো এই দ্বীপরাষ্ট্রে। কিন্তু এবার ভেঙে গেছে সমস্ত রেকর্ড। মাত্র ১ মাসের মধ্যেই ভূমিকম্পের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ হাজার। অবশ্য বিশেষ বড়সড় বিপদের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। প্রশাসনিক তৎপরতায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বহু মানুষকে। জনগণকে সতর্কও করেছে আবহাওয়া দফতর।
ঠিক কী কারণে আচমকা প্রকৃতির এই রুদ্রমূর্তি? আবহাওয়াবিদেরা এর কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা এখনও দিতে পারেননি। অগ্নুৎপাতের ঘটনাস্থল থেকে আট কিলোমিটারের দূরে বসবাস করা এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, “জানালা দিয়েই আমি লাল আকাশ দেখতে পাচ্ছিলাম। এলাকায় দূষিত গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে। এখান থেকে সবাই চলে যাচ্ছে।” বিপর্যয়ের ফলে এখনও পর্যন্ত বিমান চলাচলে কোনোরকম বাঁধার সৃষ্টি হয়নি বলেই জানা গেছে সূত্রের খবর মারফত।