নয়াদিল্লি: চিন সীমান্তের বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে, নতুন দিল্লির বিমান সদর দফতরে তিন দিন ব্যাপী বিমান বাহিনী কমান্ডার সম্মেলন শুরু হতে চলেছে, বুধবার ২২ জুলাই। বর্তমান চিন সীমান্তে অশান্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে দিল্লির বায়ুভবন। সম্মেলনের মূল বিষয় হিসাবে স্থান পাবে, ‘পরবর্তী দশকে ভারতীয় বিমানবাহিনী’।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই সম্মেলন আয়োজন করেছেন, তাঁর সঙ্গে এই সম্মেলনে যোগ দেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল, আরকেএস ভাদুরিয়া এই সমাবেশের সভাপতিত্ব করবেন বলে জানা গেছে। ভারতীয় বায়ুসেনা বা আইএএফ-এর তরফ থেকে জানা গেছে, এই সম্মেলনে ভারতীয় কমান্ডার’রা বর্তমান অপারেশনাল পরিস্থিতি ও শক্তি স্থাপনার বিষয়গুলি সম্পর্কে কথা বলবেন। সূত্র মারফত আরও জানা যায়, এখানে ভারতের বায়ুসেনার শক্তিকে আগামী দিনে আরও শক্তিশালী করার কথা আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: ভারতকে সরিয়ে চিনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল ইরান, অথৈ জলে চাবাহার রেল প্রকল্প
সূত্রের দাবি, এই সম্মেলনের মুখ্য আলোচনায়, চিনের সাথে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পূর্ব-লাদাখ এবং উত্তর সীমান্তে সেনা মোতায়েন এর বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। এই সম্মেলনে, এ মাসের শেষে ফ্রান্স থেকে আগত রাফাল বিমান মোতায়েন নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, আইএএফ-এর শীর্ষ কমান্ডাররা দেশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একটি পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এর পাশাপাশি চিন সীমান্তে আগত রাফাল বিমানের মোতায়েন নিয়েও তাঁরা মত প্রকাশ করতে চলেছেন।
আরও পড়ুন: উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত বিদ্রোহী শচীন, দল থেকেও বাদ
ইতিমধ্যেই পূর্ব লাদাখ এবং প্রকৃত সীমান্তরেখা (এলএসি) বরাবর তাদের প্রথম সারির যুদ্ধবিমানগুলি যেমন, সুখোই ৩০ এমকেআই, জাগুয়ার, মিরাজ ২০০০ মোতায়েন করেছে। এছাড়াও তারা বিভিন্ন যুদ্ধবিমান যেমন অ্যাপাচে, চিনুক ইত্যাদিকে সীমান্ত জুড়ে মোতায়েন করেছে। সম্মেলনে আলোচিত বিষয়গুলি নিয়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকে নজর থাকবে বিমান বাহিনীর।