গোঘাট: আগামীকাল বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ, আগামীকাল নন্দীগ্রামে নির্বাচন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের এই লড়াই নিয়ে আলোচনার তুঙ্গে। এদিকে একের পর এক ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এদিন গোঘাটে জনসভা করে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘ভোটের পরে দেখে নেবো কত ধানে কত চাল!’ এর পাশাপাশি মমতার কটাক্ষ, দুধ, কলা দিয়ে তিনি গদ্দারদের পুষেছিলেন।
এদিন মমতা বলেন, “বাংলার নির্বাচন হয়ে যাক, তারপরে আমি দেখব, কত ধানে কত চাল। কোন গদ্দার তোমাকে কতটা শেল্টারে দিতে পারে। কোথায় যাবে, দিল্লি, বিহার নাকি উত্তর প্রদেশ? যেখানেই যাও, রবীন মান্নাকে খুন করে যদি মনে করো পার পাবে তাহলে কান ধরে টেনে আনব।” এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্তব্য করেন, আরো অনেক ঘটনা আছে যেগুলো তিনি খুঁড়ে বের করবেন। এতদিন ভদ্রতা করে করেননি। অত বাড়াবাড়ি যেন কেউ না করে! একই সঙ্গে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী হয়ে মমতা দাবি করেন, নন্দীগ্রামে ১০০ জনে ১০০ জনই তাঁকে ভোট দেবে, গোঘাটেও তাই। সেই জন্য বিজেপি ভয় দেখাচ্ছে সবাইকে। এই মন্তব্য করেই মমতা সকলকে অনুরোধ করেন, দলের কেউ যদি ভুল করে থাকে তাহলে তিনি তাঁর হয়ে ক্ষমা চেয়ে নেবেন, কিন্তু ভুল করেও গুন্ডা এবং বহিরাগত বিজেপিকে বাংলায় ঢুকতে দেবেন না। মমতার অভিযোগ, টাকার ব্যাগ নিয়ে আরামবাগ রিসোর্টে বসে আছে বিজেপির বহিরাগত গুন্ডারা।
এদিন তিনি আরো বলেন, “সিপিএমের হার্মাদরাই আজ বিজেপি। সিপিএম থেকে বিজেপিতে গিয়ে আজকে টিকিট পেয়েছে। লোক পাচ্ছে না তাই লোকসভার এমপিকে বিধায়কের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। কোথায় এমপি কোথায় এমএলএ!” মেজাজ হারিয়ে বললেন, “শালা, দুধ-কলা দিয়ে এতদিন কালসাপ পুষেছি। মীরজাফরের দল, বলরামপুরে আমার একটা ছেলেকে এত মেরেছে যে ছেলেটা বাঁচবে কিনা আমি জানি না। কোমায় আছে এখন। ওর বাড়িতে আমি গিয়েছিলাম। এত বড় সাহস, আমার গাড়িতে হামলা চালিয়েছে। নন্দীগ্রামে পা ভেঙেও শান্তি হয়নি।”