কলকাতা: শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের দায়িত্ব নিজের হাতে সামলেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়৷ এর পর এই কেন্দ্রেই তাঁকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি প্রত্যাশা পূরণ করেছেন৷ বেহালা পূর্ব কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়৷ জেতার পর কেমন অনুভূতি তাঁর? শেয়ার করলেন অভিজ্ঞতা৷
আরও পড়ুন- ফোন করে প্রধানমন্ত্রী এখনও শুভেচ্ছা জানাননি, নিজেই জানালেন মমতা
প্রথমবার বিধানসভায় পা রাখতে চলেছেন শোভন-জায়া৷ সেই অনুভূতিটা কেমন? রত্না বলেন, এতদিন বাবা-মা’কে বিধানসভায় যেতে দেখেছি৷ তাই বিধানসভার ভিতরটা কেমন, সেটা দেখার ইচ্ছা অনেক দিন ধরেই ছিল৷ একদিন বাবার সঙ্গে যাব বলেও ঠিক করেছিলাম৷ কিন্তু ভগবানের ইচ্ছায় এবার বিধায়ক হয়েই ভিতরে ঢুকব৷ এটা অসাধারণ প্রাপ্তি৷
জয়ের হাসি হাসতে পেরে স্বস্তিতে রত্না৷ তিনি বলেন, আমি আগেও বহুবার বলেছি জয়ের বিষয়ে আমি ১০০ নয় ১০০০ শতাংশ নিশ্চিত ছিলাম৷ কারণ আমি তৃণমূলের প্রার্থী৷ অন্য দলের প্রার্থী হলে এই জোড়টা থাকত না৷ আরও ভালো লাগছে যে আগামী পাঁচ বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চালাবে৷ গুজরাটি ভাইরা এসে বাংলায় যে সংস্কৃতি শুরু করেছিল, যে ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদি দিদি বলে ডেকেছে, যে ভাবে দিদি ও অভিষেকের সম্পর্কে বাজে কথা বলেছে, তাদের যে সংস্কৃতি সেটা বাঙালি মানুষ কোনও দিনও নিতে পারে না৷ বাংলার সংস্কৃতি সম্পূর্ণ আলাদা৷
আরও পড়ুন- দিনমজুর স্বামী, EVM-এ ভাগ্য বদল শালতোড়ার BJP প্রার্থী চন্দনার
সরাসরি রাজনীতিতে না থাকলেও ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী৷ তবে এ প্রসঙ্গে রত্নার অভিমত, পদ না থাকলেও গত তিন বছর ধরেই তিনি সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত৷ তিনি বলেন, ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডটাকে কাউন্সিলারের মতোই চালাতাম৷ করোনা, আম্পান থেকে শুরু করে এলাকায় জলের সমস্যা, নিকাশি ব্যবস্থা সবটাই সামলেছি৷ গত বছর এলাকায় যে ভাবে স্যানিটাইজেশনের কাজ করেছি তাতে একটাও ডেঙ্গু হয়নি৷ রত্না বলেন, ছোট থেকে রাজনীতি দেখেছি৷ বাবার থেকে শিখেছি, শোভনবাবুর থেকেও অনেক কিছু শিখেছি৷ এর পর গত তিন বছর ধরে রাস্তায় নেমে নিজে অনেক কিছু দেখেছি৷ এবার একটা পদ হল৷ তাঁর কথায়, পদ থাকলে মানুষের জন্য অনেক বেশি কাজ করা যায়৷ তাই তাঁর কাজ করার জায়গাটা আরও প্রশস্থ হল বলেই আপ্লুত রত্না৷