কলকাতা: একুশের ভোটে ভরাডুরি বামেদের৷ এই প্রথম বাম শূন্য বাংলার বিধানসভা৷ এই শূন্যতা তিনি চাননি৷ বরং বিজেপি’র থেকে বিখুছু আয়ন বামেরা পেলে খুশিই হতেন তিনি৷ সোমবার কালীঘাটে সাংবাদিক সম্মেলনে তেমনটাই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- পুলিশকে পরে দেখা হবে, হুঁশিয়ারি মমতার! তবে দিলেন শান্ত থাকার বার্তাও
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক ভাবে বামেদের সঙ্গে সঙ্ঘাত থাকতেই পারে৷ তবে কাউকে শূন্য দেখতে চাই না৷ বিজেপি যে আসন পেয়েছে, তার একটা অংশ বামেরা পেলে ভালোই হত৷ কিন্তু ওরা এতটাই বিজেপি’কে সমর্থন করেছে যে নিজেদের বিজেপি’র কাছে বিক্রি করে দিয়েছে৷ সে কারণে নিজেরাই ‘সাইনবোর্ড’ হয়ে গিয়েছে৷’’ তাঁর কথায়, দীপঙ্কর ভট্টাচার্যরা (সিপিআইএম-এল) এমনটা করেনা৷ তাঁরা লড়াই করে৷ সে কারণেই তাঁদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তাঁর৷ উল্লেখ্য, আজই মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সন্ধেবেলা যাবেন রাজভবনে৷
প্রসঙ্গত, একুশের ভোটে কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর সঙ্গে মহাজোট করে ময়াদানে নেমেছিল বামেরা৷ বিস্তর টানাপোড়েনের পর আসন রফা করে হয় জোট৷ কিন্তু সেই জোটের ফল কার্য শূন্য৷ একটি আসন জিতে টিমটিম করে জ্বলছে আইএসএফ-এর আলোক শিখা৷ এই পরাজয়ের দায় কার? ২০১৯ সালেও জোট কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বামেরা৷ সেবারও তাঁদের স্কোর ছিল শূন্য৷ বিধানসভাতেও সেই ধারা অব্যাহত রইল৷
আরও পড়ুন- প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে রিটার্নিং অফিসারকে! নন্দীগ্রাম নিয়ে বিস্ফোরক মমতা
তন্ময় ভট্টাচার্য এই হারের জন্য দলের নেতৃত্বকেও দায়ী করেছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘গোটা সিস্টেমটাই উলঙ্গ হয়ে গিয়েছে৷ যাঁরা উপর তলায় বসে নির্দেশ দেন, এই বিপর্যয়ের দায়ভার তাঁদের উপরেই বর্তায়৷ এত বড় ব্যর্থতার দায় তাঁরা উপেক্ষা করতে পারেন না৷’’