‘বিজেপিতে কাজ করতে পারব না’, তৃণমূলে ফিরে বিস্ফোরক ‘শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ’ নেতা

‘বিজেপিতে কাজ করতে পারব না’, তৃণমূলে ফিরে বিস্ফোরক ‘শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ’ নেতা

কলকাতা: একুশের ভোটের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে যে এখনও অনেক রঙ্গ বাকি আছে, যত দিন যাচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে সেই ইঙ্গিত। প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু দলীয় কোন্দলের ঘটনা সামনে এসে মুখ পোড়াচ্ছে শাসক দলের। তবে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দানের সাম্প্রতিকতম এই হিরিকে এবার দেখা গেল উলটপুরাণ। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ‘ভুল’ বুঝতে পেরে ফের তৃণমূলে ফিরলেন পূর্ব মেদিনীপুরের নেতা সিরাজ খান।

রবিবার তৃণমূল ভবনে ফের ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন সিরাজ খান। পূর্ব মেদিনীপুরের শাসক দলের এই নেতা এক সময় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু দলে ফেরার পর ভুল শুধরে নেওয়ার তাগিদেই এবার তিনি কার্যত তুলোধুনো করলেন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। জেলায় জেলায় মানুষের জন্য কাজ করতে দেন না শুভেন্দু অধিকারী, এদিন তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন সিরাজ খান।

গত ২৫ নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সভা থেকে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান। সেই দলবদলের ৫৫ দিনের মাথায় ‘ঘরের ছেলে’ আবার ফিরলেন ঘরে। এদিন সিরাজ খানের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। পুরোনো নেতাকে ফের দলে পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তৃণমূল নেতৃত্ব।

শুভেন্দু অধিকারীর নতুন দলকে কটাক্ষ করে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খুব ঘটা করে ওঁরা সিরাজকে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমরাও আজ তাঁকে হাত তুলিয়ে দলে ফিরিয়ে নিলাম। সিরাজ আমাদের ছিল, আমাদের আছে, আমাদের থাকবে।’’ উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর আগেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন সিরাজ খান। ‘‘আমি শুভেন্দু অধিকারীর আশীর্বাদ পেয়েছি’’, বলেছিলেন তিনি। কিন্তু এদিন যেন পুরো বিষয়টাই গেল উল্টে।

পুরোনো দলে ফিরে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিয়ে সিরাজ খান বলেন, ‘‘জেলায় কাউকে মানুষের জন্য কাজ করতে দেয় না শুভেন্দু অধিকারী। ২০১১, ২০১৬ সালে আমাকে টিকিট দেবে বলেও টিকিট দেয়নি শিশির অধিকারী, শুভেন্দুরা৷ বঞ্চিত করেছে আমাকে৷’’ সেই সঙ্গে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজকেও এদিন প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সিরাজ খান৷ তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি খুব বড় বড় মানুষের পার্টি। ওখানে আমি কাজ করতে পারব না। ভুল বুঝতে পেরেছি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *