‘মুখ্যমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী রেখেছেন, উনিও তাড়াননি, আমিও ছাড়িনি’! রামনগরে শুভেন্দু

শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে মন্ত্রী রেখেছেন, তাড়াননি, তিনিও ছাড়েননি।

93c7625447e54e548131c5cd444899d0

রামনগর: প্রথমেই জানিয়েছিলেন, ১৯ তারিখ অনেক কিছু বলবেন। আজ ১৯ তারিখ, রামনগরে শুভেন্দু অধিকারী জনসভা। আজকের এই জনসভা থেকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য যে তিনি করবেন তা প্রথম থেকেই বোঝা গিয়েছিল। সেই নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে তথা রাজ্যবাসীর মধ্যে উৎকণ্ঠা ছিল প্রবল। আদৌ কি দল ছাড়ার ইঙ্গিত দেবেন শুভেন্দু, নাকি অন্য কোনো ঘোষণা করবেন। তবে আজকের সভা থেকে যে মন্তব্য তিনি করলেন, তাতে জল্পনা এবং বিতর্ক যে আরো বাড়লো তাতে কোন সন্দেহ নেই। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে মন্ত্রী রেখেছেন, তাড়াননি, তিনিও ছাড়েননি।

আজকের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আজ ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন। তাঁর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য দেওয়ার সময় এক সাংবাদিক আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি দল পরিবর্তন করব কিনা। আমি তাঁকে বললাম, আজকের মঞ্চ রাজনৈতিক মঞ্চ নয়, এখান থেকে এই ধরনের আলোচনা করা যায় না। আমি এখনো একটা দলের প্রাইমারি মেম্বার, সক্রিয় সদস্য। আমি এখনো একটা মন্ত্রিসভার সদস্য, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী রেখেছেন। উনিও আমাকে তাড়াননি, আমিও ছাড়িনি। রাজনৈতিক কথাবার্তা দলের ভিতর থেকে, মন্ত্রিসভার ভিতর থেকে বলা যায় না। আমরা এত আনেথিক্যাল কাজ করি না’। শুভেন্দুর কথায়, বহুদলীয় গণতন্ত্রে সময় সময় বিভেদ হয়, বিভেদ থেকে বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু যতক্ষণ কেউ দলে আছেন, কেউ মন্ত্রিসভায় আছেন, তাঁকে যখন নিয়ন্ত্রকরা তাড়াননি, তিনি নিজেও ছাড়েননি, তাই ততক্ষণ এসব কথা মঞ্চ থেকে বলা যায় না। একেবারে নীতি এবং আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজ করার লোক তাঁরা নন বলে জানান রাজ্যের মন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, ‘আজকের এই সমাবেশে আসা নিয়ে যে উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছিল তার দায় অন্যদের। শুভেন্দু অধিকারী স্থান, কাল, পাত্র, ব্যানার জানে।’ তিনি স্পষ্ট করেন, আজকে এখানে সমবায়ীদের মেগা শো হল, সমবায়ের পতাকার নিচে, সমবায়ের ব্যানারে, এত মানুষের সমাগমে অনুষ্ঠান হল। এক কথায় এই ধরনের মন্তব্য করে একদিকে যেমন রাজনৈতিকভাবে জবাব দিলেন শুভেন্দু, অন্যদিকে বলা যায় পরোক্ষভাবে জল্পনা বজায় রাখলেন। তিনি কখনোই সরাসরি নাম নিয়ে তৃণমূল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কিছু বললেন না, অন্যদিকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বঙ্গ রাজনৈতিক বিতর্কের আবহ জিইয়ে রাখলেন। আজ না হয় তিনি স্পষ্ট করলেন রাজনৈতিক ব্যাপারে মুখ খুলবেন না, কিন্তু ভবিষ্যতে কি হবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎকণ্ঠা রয়েই গেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *