কলকাতা: লক ডাউন পরিস্থিতির জেরে সাধারণ জনজীবনের ভোগান্তির শেষ নেই। অথচ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এছাড়া কোনও উপায় ছিল না বলেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে সেই কারণে শ'য়ে শ'য়ে মানুষ ঘরছাড়া। আশ্রয় নিয়েছেন হাওড়া স্টেশনের বাইরের শেডে। সূত্রের খবর, প্রায় ৪০০ যাত্রী আটকে পড়ে আছেন সেখানে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে হঠাৎই লক ডাউন জারির নির্দেশ দেন। এদিকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তোড়জোড় চলছিল রাজ্যে। অসম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ডের বহু মানুষকে স্থানান্তর করার পদক্ষেপ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। হাওড়া এসে পৌঁছেওছিলেন তাঁরা। কিন্তু আচমকা লক ডাউন ঘোষণায় সেখান থেকে ফেরার আর কোনও উপায় ছিল না। এদিকে ট্রেন বন্ধ থাকায় নির্দেশ মতো স্টেশনও তালাবন্ধ। অগত্যা স্টেশনের বাইরে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। রেলের এক আধিকারিক বলেন, 'মঙ্গলবার রাতে আমরা দেখলাম শ'য়ে শ'য়ে মানুষ ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের পাশের শেডে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই অসম ও ত্রিপুরার বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশ আর বিহারেরও কিছু মানুষ আছেন। ট্রেন বন্ধ থাকায় এখন তাঁদের কোথাও যাওয়ার নেই।' এছাড়াও আধিকারিকরা পরিবহন দফতরে খবর দিয়েছি বলেও জানিয়েছেন। যাতে সংশ্লিষ্ট দফতর তাঁদের জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করে। এমনকী, 'মানবিকতার খাতিরে আমরা তাঁদের প্রত্যেককে খাবার দিচ্ছি', বলেও জানিয়েছেন এক আধিকারিক। এক আধিকারিকের কথায়, 'রবি ও সোমবারেই প্রায় ৬০ হাজার মানুষ অন্য রাজ্য থেকে থেকে এই রাজ্যে এসেছেন। তাঁদের অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি। যেহেতু হাওড়া রেলস্টেশন তালা বন্ধ, তাই কমপ্লেক্সের বাইরে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন।'
এদিকে লক ডাউন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির খবরও পাওয়া যাচ্ছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে আশ্বস্ত করা হলেও ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেকেই। এর আগেও লকডাউনের প্রথম দিন ধর্মতলা চত্বরে ঘরে ফিরতে সমস্যায় পড়েছিলেন বহু মানুষ।