huge crowd
দিঘা: পুজোর শুরুতে বেশ ফাঁকাই রয়েছে দিঘার সমুদ্র সৈকত৷ যা এক কথায় বেশ অচেনা৷ ছোটখাটো ছুটি পেলেও বাঙালি ছুটে যায় দিঘায়৷ তাছাড়া গোটা বছর ধরে দিঘার সৈতকে ভিড় থাকে৷ তাহলে কোথায় গেলেন তাঁরা? মনে উঁকি দিচ্ছিল এই প্রশ্ন৷ পুজোর গোড়ায় দিঘা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকলেও দশমীতে দিঘামুখী ভ্রমণ পিপাসু মানুষ। ট্রেনে-বাসে চেপে কাতারে কাতারে মানুষ আসছে দিঘায়৷ পাশাপাশি চারচাকি গাড়ি বা দু’চাকায় চেপেও পর্যটকরা সমুদ্র শহরে পা রাখছে৷ ভিড় না থাকায় গত কয়েক দিন উৎকণ্ঠায় ছিলেন দিঘার হোটেল মালিকরা৷ অবশেষে মিলল স্বস্তি৷ ‘দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশান’ সূত্রে খবর, নবমীর রাত থেকেই পর্যটকেরা দলে দলে দিঘায় আসতে শুরু করেছে৷ দশমীর সকালে দেখা গেল একেবারে পরিপূর্ণ দিঘা। (huge crowd)
‘হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অবশেষে আমরা নিশ্চিন্ত হলাম। নবমীর রাত থেকেই পর্যটকেরা দিঘায় আসতে শুরু করেছেন। দশমীতে সেই ভিড় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, এবার অনলাইন বুকিংয়ের বদলে স্পট বুকিংয়েই বেশি জোর দিচ্ছেন পর্যটকেরা।’ গত বছর ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। পুজোর শুরু থেকেই ভিড় উপচে পড়েছিল দিঘায়। আগাম বুকিং না করে যাঁরা হঠাৎ করেই পুজোর মাঝে সমুদ্র শহরে এসে হাজির হয়েছিলেন, তাঁদের রীতিমত বিপদে পড়তে হয়েছিল। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ভিড়ে ঠাসা ছিল সৈকত৷ কিন্তু এই বছর প্রথম দিকে খাঁ খাঁ করছিল দিঘা৷ হোটেল মালিকরা জানিয়েছিলেন, ভিড় তো দূর, বলা যেতে পারে দিঘার সমুদ্র সৈকত প্রায় জনশূন্য৷ অল্প-বিস্তর আগাম বুকিং হয়েছে ঠিকই, তবে এখনও ফাঁকাই পড়ে রয়েছে অধিকাংশ হোটেলের ঘর। দেখা মেলেনি চেনা ছবির৷ অবশেষে সেই খরা কাটল দশমীতে৷