কলকাতা: কথায় আছে, ‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না’৷ আক্ষরিক অর্থেই তাই৷ দাঁত নিয়ে আমাদের কারোরই তেমন মাথা ব্যথা থাকে না৷ অথচ দাঁত নিয়ে কমবেশি প্রায় সকলকেই কোনও না কোনও সময় ভুগতে হয়৷ অনেকেরই হয়তো ছোটবেলায় দাঁতের সমস্যা থাকে না। তার মানে এই নয় যে, পরিণত বয়সেও কোনও সমস্যা দেখা দেবে না। আর দাঁতের অধিকাংশ সমস্যাই হয় স্থায়ী। এক বার সমস্যা দানা বাঁধলে তার হাত থেকে নিস্তার নেই৷ দাঁত বাঁচানোই হয় কঠিন। তাই চিকিৎসকরা বলছেন, বয়স ৩০ পেরোলেই দাঁত নিয়ে অবহেলা নয়৷ সমস্যা দেখা দিলেই অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে৷
আরও পড়ুন-২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের মতোই বিক্ষোভে ২০১৭-র উত্তীর্ণরা, ইন্টারভিউ ইস্যুতে বড় প্রশ্ন
কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
দাঁতে পোকা
আমরা কথায় বলি দাঁতে পোকা হয়েছে৷ তবে দাঁতে পোকা বলে কিছু হয় না। দাঁতের ক্যাভিটির যদি দীর্ঘ দিন চিকিৎসা না হয়, তাহলে দাঁতের ব্যথা শুরু হয়। ক্যাভিটি আসলে দাঁতের ছিদ্র। দাঁত ঠিক মতো পরিষ্কার করা না হলে, এই সমস্যা বাড়তে থাকে। যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়ে৷ ক্যাভিটি দাঁতের গোড়া পর্যন্ত চলে গেলে ব্যথা বেদনা শুরু হয়। ক্যাভিটির মধ্যে খাবারের কুচি ঢুকে গিয়ে পচতে থাকে৷ যা দাঁতের ক্ষতি করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দিনে অন্তত দু’বার অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করা উচিত৷
ফিলিং
দাঁতের মধ্যে তৈরি ছিদ্র আকারে ছোট হলে তা ফিলিংয়ের মাধ্যমে বন্ধ করা যেতে পারে। ফিলিং দাঁতের ছিদ্রে খাবার ঢোকা আটকায়। ক্যাভিটিও আর বাড়তে পারে না।
দাঁত তুলে সে জায়গায় নতুন দাঁত বসানো-
দাঁত তুলে সেই জায়গায় নতুন দাঁত বসানো যায়। এর জন্য মূলত তিনটি উপায় রয়েছে। প্রথমত, অস্থায়ী নকল দাঁত লাগানো যেতে পারে। এই দাঁত ইচ্ছে মতো খোলাপড়া করা যায়। তবে আপনি চাইলে স্থায়ী নকল দাঁতও লাগানো যেতে পারে। যা এক বার লাগিয়ে দিলেই আর খোলার সমস্যা থাকে না। এ ছাড়া ডেন্টাল ইমপ্লান্টের মাধ্যমেও নতুন দাঁত বসিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে আপনার ক্ষেত্রে কোনটি উপযুক্ত, তা জানতে দন্ত্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
মাড়ি থেকে রক্তপাত-
অনেক সময় দাঁতের গোড়া ফুলে যায়, মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে থাকে৷ শরীরের কোনও অঙ্গ থেকেই রক্তক্ষরণ ভাল নয়। এই সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁত মাজার পদ্ধতি-
সকালে উঠে দাঁত আমরা সকলেই মাজি৷ কিন্তু এর চেয়েও বেশি জরুরি রাতে খাওয়ার পর দাঁত মাজা। রাতে খাওয়া-দাওয়া করার ৩০ মিনিটের মধ্যে অবশ্যই দাঁত মেজে নিন৷ দাঁর মাজার জন্য নরম ব্রাশ ব্যবহার করলেই ভাল৷ তিন মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করে নিন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>