ছুটি শেষে এবার স্কুল খোলার পালা, তীব্র গরমে শিশুকে সুস্থ রাখতে কী ভাবে?

ছুটি শেষে এবার স্কুল খোলার পালা, তীব্র গরমে শিশুকে সুস্থ রাখতে কী ভাবে?

কলকাতা: স্কুলে টানা গরমের ছুটি চলছে৷ ফলে তীব্র গরমে তেতেপুড়ে স্কুলে যাওয়ার তাড়া নেই। কিন্তু বাড়িতে রয়েছে বলে যে আপনার শিশুর উপর গ্রীষ্মের কোনও আঁচ লাগবে না, তেমনটা কিন্তু নয়। বাড়িতে থাকেলেও এই গরমে বাড়ির খুদে সদস্যটির বাড়তি যত্ন নিন। গরমে স্কুলে যাচ্ছে না মানে কোনও ঝুঁকি নেই, তেমনটা ভাবা মোটেও উচিত হবে না৷ 

তা ছাড়া আর কিছু দিনের মধ্যেই স্কুল খুলে যাবে। তার আগে তাপপ্রবাহ কমার নিশ্চিত পূর্বাভাস দিতে পারেনি হাওয়া অফিসও৷ তাই ছোট্ট সোনাকে গরমের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলাটা আবশ্যক৷ শরীরের ভিতরে কী সমস্যা হচ্ছে, বাচ্চাদের পক্ষে সব সময় তা বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। বাবা-মায়ের পক্ষেও বাইরে থেকে সবটা বোঝা সহজ নয়। তবে কিছু লক্ষণ চোখে পড়লে বুঝতে হবে, গ্রীষ্মের প্রভাব পড়েছে খুদের উপরেও। খেয়াল রাখুন আপনার সন্তানের মধ্যে এই লক্ষণগুলি নেই তো! সব সময় তেষ্টা পাওয়া, বমি বমি ভাব, মাথ্যব্যথা, ত্বকে ব়্যাশ, চুলকানি, পেশিতে ব্যথা৷ এই ধরণের সমস্যাগুলি শিশুর মধ্যে দেখতে পেলে আর দেরি নয়৷ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিন৷ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলাটা জরুরি। 

১) গরমের দাপট না কমা পর্যন্ত খুদেকে সুতির পোশাক পরান। সিন্থেটিক, জর্জেটের কোনও পোশাক ভুলেও পারবেন না। একটু ঢিলেঢালা পোশাক হলেই ভাল৷ এতে রক্ত চলাচল ঠিক থাকবে।

২) দুপুরে রোদের মধ্যে খুদেকে নিয়ে বাইরে বেরোবেন না৷ একান্তই প্রয়োজন হলে, আগাম সুরক্ষা নিন। শিশুর মাথায় পাতলা সুতির স্কার্ফ জড়িয়ে নিতে পারেন। কিংবা টুপিও পরাতে পারেন। সানস্ক্রিন মাখানোটাও কিন্তু জরুরি৷ 

৩) বাচ্চারা বেশি জল খেতে চায় না৷ কিন্তু এই গরমে ওদের জোর করে হলেও বারেবারে জল খাওয়ান। দিনে অন্তত ২ লিটার জল খাওয়ানোটা জরুরি। যাতে শরীর আর্দ্র থাকে। এ ছাড়াও লেবুর রস, ডাবের জল,  রসালো ফল বেশি করে খাওয়াতে হবে।

৪) এই গরমে কিন্তু বাইরের খাবার একেবারেই নয়৷ প্রয়োজনে বাড়িতেই বানিয়ে দিন খুদের মনপসন্দ খাবার। দোকানের রোল, পিৎজা, বার্গার,  চাউমিনের মতো ফাস্টফুড না খাওয়ানোটাই শ্রেয়।

৫) একসঙ্গে বেশি খাবার নয়। এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। বরং অল্প অল্প করে খাওয়ান। এতে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টিও পৌঁছবে, পেটও ভর্তি থাকবে।