কলকাতা: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা৷ বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণের গ্রাফ৷ দেশ জুড়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। প্রত্যেক নাগরিককে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ উপসর্গ দেখা মাত্রই কোভিড টেস্ট করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে বার বার সতর্ক করার পরেও উপসর্গযুক্ত বহু মানুষই পরীক্ষা করাচ্ছেন না৷ মরশুমের সাধারণ সর্দিকাশি, জ্বর ভেবে তাঁরা এড়িয়ে যাচ্ছেন৷ এদিকে, টিকা নিয়েছেন এমন অনেকেই আবার উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ যুক্ত। ফলে সামান্য সর্দিকাশি ভেবে গুরুত্ব দিচ্ছেন না অনেকেই। এই আলগা মনোভাবই দেশ জুড়ে কোভিডের চলার পথ মসৃণ করছে৷ এর ফলে কোভিড ফের আগের মতো মারণ রূপ ধারণ করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন- করোনার BF.7 উপজাতি নিয়ে বিরাট শঙ্কা, সর্দিজ্বরের সঙ্গে উপসর্গ মেলালে চলবে না
এখানে একটা ছোট্ট সমস্যা রয়েছে৷ সেটা হল ফ্লু ভাইরাস আর করোনা ভাইরাসের উপসর্গগুলি অনেকটাই এক৷ এক্ষেত্রে কোনটা ফ্লু আর কোনটা করোনা বুঝবেন কী ভাবে? কারণ দুটি ক্ষেত্রেই গলা ব্যথা, জ্বর, সর্দি-কাশি, গায়ে ব্যথার মতো উপসর্গগুলি লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, করোনার ক্ষেত্রে স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়াটা একটা বড় উপসর্গ, যা সাধারণ ফ্লুয়ের ক্ষেত্রে হয় না। এছাড়াও বমি বমি ভাব, শরীরে অত্যাধিক ক্লান্তিও করোনার অন্যতম লক্ষণ৷ এছাড়াও আরও একটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত৷ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হলে নাক দিয়ে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন হাঁচি, বুকে কফ জমে যাওয়ার মতো উপসর্গগুলি দেখা যায়। কোভিডের ক্ষেত্রে কিন্তু শুকনো কাশি হবে৷ সেই সঙ্গে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, অল্পতেই শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গগুলি লক্ষ্য করা যাবে। এই সময় যদি জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলেই সতর্ক হয়ে যান৷ জ্বর হলেই নিয়মিত শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করতে থাকুন। অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করলেই তা কোভিডের লক্ষণ।
এক্ষেত্রে কী করণীয়?
সামান্য গলা ব্যথা বা জ্বর হলে আতঙ্কিত হবেন না। দু’দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করুন৷ বোঝার চেষ্টা করুন শুধু জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা ছাড়া কোভিডের অন্যান্য উপসর্গগুলি ধরা পড়ছে কি না। গরম জলে নিয়মিত গার্গল করে যান। সঙ্গে তুলসীপাতা-মধু ফুটিয়ে খান। বারে বারে ভেষজ চা খান৷ ২-৩ দিনের মধ্যেও যদি অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে অবিলম্বে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নিন৷
তবে জ্বর বা ঠাণ্ডা লাগলে, প্রথম দিন থেকেই সতর্ক হয়ে যান৷ যে ক’দিন আপনি উপসর্গগুলি বোঝার চেষ্টা করছেন, সে ক’দিন বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে দূরে থাকুন। বাড়ির ভিতরেও মাস্ক ব্যবহার করুন। বন্দোবস্ত থাকলে আলাদা বাথরুম ব্যবহার করুন। আলাদা বাথরুমের ব্যবস্থা না থাকলে, আপনি ব্যবহার করার পর বাথরুম স্যানিটাইজ করে তবেই বাকিদের ব্যবহার করতে দিন। এই ক’দিন আলাদা বাসনে খেলেই ভাল৷ আলাদা গামছা ও পোশাক ব্যবহার করুন৷ দিনে অন্তত দু’বার ভাপ নিন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>