বিশ্বজিৎ পাল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গতকালই (৬ সেপ্টেম্বর) পানিহাটি বিধানসভার এক চা-চক্রে যোগ তৃণমূল সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, প্রায়ই তাঁর দলের লোকেরা ফোন করে জানান, দলীয় কর্মীদের পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। এছাড়া তৃণমূলি গুণ্ডার হাতে বিজেপি কর্মীদের মার খাওয়া নিয়েও সরব হন তিনি। ২০২১-এ ক্ষমতায় এসে সব সুদে আসলে মিটিয়ে নেবেন বলে দলীয় কর্মীদের সামনে অঙ্গীকার করেন দিলীপ। তাঁর কথার ২৪ ঘণ্টা পেরতে না পেরতেই এক গৃহবধূর বিজেপি করায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ উঠল।
সোমবার রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন পালিত হচ্ছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার রঘুদেবপুর গ্রামে এক গৃহবধূর ওপর চলল গুলি। তাঁর বাড়ি সহ পাশাপাশি আরও কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও জানা গেছে। তাঁরা বিজেপি করেন বলেই এই হামলা বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ গৃহবধূর নাম রাধারানি নস্কর। তাঁর স্বামী অরুণ নস্কর বিজেপির বুথ কমিটির সদস্য এবং রাধারানি সেই উথের হিসাব রক্ষকের দায়িত্বে আছেন বলে জানা গেছে। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ একদল দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাধারানির ওপর চড়াও হয় এবং তাঁকে মারধর করে এবং স্বামী কোথায় আছে তা জিজ্ঞাসা করে।
রাধারানি প্রতিরোধ করলে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। গুলি তাঁর মাথার পেছনের বাঁ দিকে লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর স্থানীয়রা এসে রাধারানিকে নিকটবর্তী এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে কলকাতাঁর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রঘুদেবপুর গ্রামে।
বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে এলাকার মানুষ পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। অধিকাংশের অভিযোগ হামলাকারী দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত। বিক্ষোভ শুরু হলে ঘটনাস্থলে বিষ্ণুপুর থানার স্পেশাল টিম ও বিষ্ণুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিএসপি জীবনেশ রায় পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে এই ঘটনায় ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এদিকে, শান্তিনিকেতন থানা এলাকার কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহুলা গ্রামে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। এমনকি বিজেপি পার্টি অফিসে সামনে বোমাবাজি করা হয়। বিজেপির দলীয় প্রাতাকা রাস্তায় ফেলে দুষ্কৃতীরা বলে, এলাকায় বিজেপি করা যাবে না। গতকাল সন্ধে থেকে এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মহুলা গ্রাম।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় যায় শান্তিনিকেতন থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।