সপ্তাহান্তে শুরু টিকাকরণ! উত্তেজনায় ফুটছেন করোনা যোদ্ধারা

সপ্তাহান্তে শুরু টিকাকরণ! উত্তেজনায় ফুটছেন করোনা যোদ্ধারা

কলকাতা: ২০২০-কে বিদায় জানিয়ে বিশ্ব জুড়ে চলছে বর্ষ বরণের পালা। অভিশপ্ত বছরের শেষে মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন নতুন করে আশা জাগিয়েছে মানুষের মনে। ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে অতিমারীর ভ্রুকুটিও। চলতি মাস থেকেই দেশ জুড়ে শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণ প্রক্রিয়া, ঘোষণা করেছে সরকার।

করোনা টিকাকরণের প্রাথমিক পর্যায়ে যাঁরা ভ্যাকসিনের ডোজ নেবেন ইতিমধ্যে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী সহ একাধিক করোনা যোদ্ধাকে কোভিড টিকা দেওয়া হবে। টিকাকরণের প্রথম ডোজ নিয়ে তাই কার্যত উত্তেজনায় ফুটছেন তাঁরা। আগামী ১৬ তারিখ থেকে পুণের সিরাম ইন্সটিটিউট নির্মিত করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’ দেওয়া হবে এক ঝাঁক করোনা যোদ্ধাদের। টিকাকরণের প্রথম পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের। পরবর্তী পর্যায়ে পুলিশ এবং অন্যান্য সমাজ কর্মীরা টিকা পাবেন। 

দুদিন আগে রাজ্যে করোনা টিকাকরণের মহড়া তথা ড্রাই রান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। তাতেও অংশ নিয়েছিলেন একাধিক স্বাস্থ্য কর্মী। চলতি সপ্তাহে টিকাকরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তেজনা চেপে রাখতে পারলেন না এসএসকেএম হাসপাতালের জেনারেল সার্জারি ওয়ার্ডের সিস্টার-ইন-চার্জ শ্রীলা মণ্ডল, “করোনা টিকাকরণের প্রথম পর্যায়ে অংশ নেবো ভেবে আমি খুবই উত্তেজিত। গত সপ্তাহে এসএসকেএম হাসপাতালের ড্রাই রান প্রোগ্রামেও আমি অংশ নিয়েছিলাম। সত্যিকারের ভ্যাকসিনটা কেমন হবে সে ব্যাপারে একটা অভিজ্ঞতা তৈরি হয়েছে।”

উৎসাহ ঝরে পড়েছে সিনিয়র ট্রাফিক সার্জেন্ট বিপ্লব মণ্ডলের গলাতেও। গত ৯ মাসে নিজের ২৫ জন সহকর্মীকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে দেখেছেন তিনি। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন প্রাণও হারিয়েছেন। বিনামূল্যে করোনা টিকার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তায় তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকের কাছে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন কলকাতা পৌরসভার ঝাড়ুদার মহেশ হেলাও। তাঁর কথায়, “লকডাউন এবং তার পরবর্তী সময়ে আমরা শহর পরিষ্কার রেখেছি। করোনা টিকা নেওয়ার জন্য আমি সত্যিই উত্তেজিত।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 1 =