নয়াদিল্লি: আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে আদমশুমারি বা জনগণনার কাজ৷ সেই সঙ্গে শুরু হচ্ছে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) আপডেটের কাজও৷ চলছে প্রস্তুতি পর্ব৷ বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একথা ঘোষণা করা হয়৷
দেশজুড়ে সিএএ, এনপিআর ও এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যেই জনগণনার তৎপরতা শুরু করল কেন্দ্র। একের পর এক রাজ্যে সিএএ বিরোধী রেজোলিউশন পাশ করা হচ্ছে৷ সুর চড়ছে এনআরসি, এনপিআরের বিরুদ্ধে। এই এনপিআরের কাজ শুরু করার জন্য প্রতিটি রাজ্যকে চিঠি পাঠালেন রেজিস্ট্রার জেনারেল অ্যান্ড সেনসাস কমিশনার বিবেক যোশি। ইতিমধ্যেই এই সমীক্ষায় কী কী বিষয়ে কেন্দ্র সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন করবে তার তালিকাও তৈরি হয়ে গিয়েছে।
মোট ৩১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রথম দফায় হবে দেশের বাড়ি গণনা ও তালিকা। সেই কাজ সব রাজ্যকে শেষ করতে হবে ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এর পরে জনগণনার কাজ হবে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাড়ির নম্বর বা ঠিকানা, সেনসাস হাউস নম্বর জানাতে হবে সমীক্ষা করতে আসা কর্মীকে। সেই সঙ্গে জানাতে হবে বাড়ির দেওয়াল, ছাদ, মেঝে বা তলের মূল নির্মাণ সামগ্রী, বাড়ির কেমন অবস্থা, বাড়িতে মোট কতজন বাস করেন। সেই সঙ্গে পরিবারের কর্তার নাম, লিঙ্গ, জাত।
এখানেই শেষ নয়, জানতে চাওয়া হবে জনগণনার আওতাভুক্ত বাড়িগুলিতে কতগুলি থাকার ঘর ও কতজন বিবাহিত সদস্য আছেন৷ পানীয় জল, বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় কোথা থেকে। জানাতে হবে শৌচাগার আছে কিনা, থাকলে সেটা কী ধরনের, বর্জ্য বেরনোর কী ব্যবস্থা, বাড়িতে স্নানের সুবিধা আছে কিনা, রান্নাঘর ও এলপিজি বা পিএনজি সংযোগ আছে কিনা। এটুকুই নয় বলতে হবে কী ধরনের জ্বালানিতে বাড়িতে রান্নাবান্না হয়, বাইসাইকেল, স্কুটার, মোটরসাইকেল, ভ্যান আছে কিনা, কী ধরনের শস্যদানা পরিবারে খাওয়া হয় ইত্যাদি। বাড়ির সদস্যরা কতজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন জানাতে হবে সেটাও৷