himanta biswa sarma
নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩৫ আসনে জেতার লক্ষ্যে সাধ্যমতো চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপিকে। যদিও তৃণমূলের কটাক্ষ, গতবারের ১৮টি আসন তো দুরের কথা, এবার সিঙ্গল ডিজিটেই আটকে যাবে বিজেপি। বাংলা থেকে বিজেপি গোটা দুয়েকের বেশি আসন পাবে না বলেও তৃণমূল দাবি করছে। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ দায়িত্ব বিজেপি দেওয়া হয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে, এমনটাই সূত্রের খবর। এও শোনা যাচ্ছে সম্প্রতি রাজ্যে এসে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে এক দফা নাকি বৈঠকও করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
হিমন্ত যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেখানে লক্ষ লক্ষ বাঙালি বাস করেন। হিমন্ত নিজে বাংলা বলতে পারেন, বুঝতেও পারেন। পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি সম্পর্কে তাঁর সম্যক ধারণা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার সঙ্গে অসমের দূরত্ব বেশি নয়। তাই ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেও হিমন্তকে বাংলায় কাজে লাগাতে চান কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনা হল হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসেবে হিমন্ত বহুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের নেক নজরে রয়েছেন। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অত্যন্ত আস্থাভাজন নেতা হিসেবেই তিনি পরিচিত। হিমন্তের হাত ধরেই উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যে কংগ্রেসকে শূন্য করে দিয়েছে বিজেপি তথা এনডিএ-র শরিক দলগুলি। তাই লোকসভায় হিমন্তকে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়াটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হলেন সুনীল বনশাল। কিন্তু তার বাইরেও সুনীল বেশ কয়েকটি রাজ্যের দায়িত্বে রয়েছেন। তাই সুনীলের চাপ কমাতেই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব হিমন্তকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। হিমন্তের ‘পলিটিকাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ বহুদিন ধরেই নজর কেড়েছে অমিত শাহের। সম্প্রতি অসম সমস্যা মেটাতে হিমন্তের উদ্যোগ অনেকটাই ফলপ্রসূ হয়েছে। ‘আলফা’র একটা অংশ হিমন্তের মধ্যস্থতায় শান্তি চুক্তিতে সই করেছেন। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব হিমন্তের উপর আরও বেশি ভরসা করতে শুরু করেছেন। যদিও বাংলায় বিজেপির লড়াইটা যে অত্যন্ত কঠিন সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ একুশের নির্বাচনের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রাজ্য বিজেপির শক্তিক্ষয় হয়েছে। তাই গুরুদায়িত্ব পেয়ে হিমন্ত দলকে কতটা সাফল্য এনে দিতে পারেন এখন সেটাই দেখার।