কলকাতা: বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে প্রথম দফার নির্বাচন৷ এবার দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হতে চলেছে সব থেকে চর্চিত নন্দীগ্রামে৷ উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম নিয়ে চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি শুরু করল নির্বাচন কমিশন৷ থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা৷
দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আরও কিছুটা বাড়াল কমিশন৷ এই দফায় ৬৫১ কোম্পানি বাহিনী ব্যবহার করা হবে৷ বাঁকুড়ায় ১৭০, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৯৯, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১০ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা য় ৭২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে৷ এছাড়াও বারুইপুরের স্ট্রং রুমে ইভিএম পাহারার কাজে ২৩ কোম্পানি বাহিনী থাকবে৷
আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মোট দশ হাজার ৬২০টি বুথের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৬৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে৷ এর মধ্যে বুথের দায়িত্বে থাকবে ৬২৪ কোম্পানি৷ নন্দীগ্রামে ২১ কোম্পানি বাহিনী থাকবে৷ এই দফায় স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর বুথ ছাড়াও অন্যান্য সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে৷ এছাড়াও প্রায় ১২ হাজার রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করা হবে বলে সূত্রের খবর৷
রাজ্যের দ্বিতীয় দফা বিধানসভা নির্বাচনে আগামী বৃহস্পতিবার ৩০ টি আসনে ভোট গ্রহণের জন্য মোট ১০ হাজার ৬২০টি বুথ থাকবে৷ রাজ্য নির্বাচন দফতরের এক মুখপাত্র জানান, এর মধ্যে মেইন বুথের সংখ্যা ৮ হাজার তিনশো ৩৩ এবং অক্সিলিয়ারি বুথের সংখ্যা দু হাজার ২৮৭। এই ভোটদানকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছে গেছে৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি বুথেই রাজ্য পুলিশের এক জন করে লাঠি ধরি কনস্টেবল থাকবে৷
রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচনে পাঁচ জেলার ৪৪টি কেন্দ্রে মোট ৩৭৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু আজ জানিয়েছেন, এই দফায় ৩৮২ জন মনোনয়ন জমা দিলেও পাঁচ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে৷ চার জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন৷ এরমধ্যে কোচবিহারে ৭০, আলিপুরদুয়ার ৪২, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১০৪, হাওড়ায় ৯৩ ও হুগলিতে ৬৪ জন প্রার্থী রয়েছেন৷ পঞ্চম দফার জন্য এখনও পর্যন্ত ১৮১জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন৷ এই পর্বে আগামীকাল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন৷