নয়াদিল্লি: উত্তর ভারত জুড়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ ফুঁসছে নদীর জল৷ সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেক্টর বাহিত রোগের সংক্রমণ৷ বৃষ্টির জমা জল থেকে মশাবাহিত রোগ বিস্তারের সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ভরা মরশুমেই কিন্তু রোগ জীবাণুর বংশবিস্তার অত্যধিক হয়ে থাকে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর ভারতে যে ভাবে বর্ষা নেমেছে, তাতে ভেক্টর বাহিত রোগের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই৷ এছাড়াও বৃষ্টির ফলে জমা জল থেকে মশাবাহিত রোগের বিস্তার পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে সতর্ক করা হয়েছে। এরই মধ্যে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে জাপানিজ এনসেফালাইটিস, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া ছাড়ানোর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ বলছে, চলতি বছরে ডেঙ্গির ভাইরাসের নতুন মিউটেশন দেখা গিয়েছে। এই নয়া স্ট্রেইন কিন্তু ভয়ঙ্কর। DEN-2 নামে ডেঙ্গির এই নয়া স্ট্রেইন বিভিন্ন জায়গায় ছড়াচ্ছে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
ভেক্টর-বাহিত রোগে নিয়ে ১৩টি রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। সেই রাজ্যগুলি যথাক্রমে- উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, রাজস্থান, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং তামিলনাড়ু। যদিও কেন্দ্রের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, যাতে মশার লার্ভা জন্ম না নেয় তার জন্য সচেষ্ট হতে হবে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে। প্রসঙ্গত, গত বছর দেশে ২৩,৩৫১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল ৩০৩ জনের৷