high court
কলকাতা: স্কুল-কলেজে ভর্তি থেকে চাকরি কিংবা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প, বহু ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় জাতিগত শংসাপত্র। দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরুর পর এই ক্যাম্পের মাধ্যমে রাজ্যের তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষকে এই শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এখানেও উঠল দুর্নীতির অভিযোগ৷ জেলা স্তরে বহু মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে জাল জাতিগত শংসাপত্র তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বলে মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। সঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি৷ কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ, সম্প্রতি ইস্যু হওয়া সব জাতিগত শংসাপত্র তদন্ত করে দেখতে হবে৷
এখনও পর্যন্ত দুয়ারে সরকার শিবির থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ জাতিগত শংসাপত্র পেয়েছেন৷ সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাাণ মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। কিন্তু ইস্যু হওয়া শংসাপত্রের মধ্যে বহু ভুয়ো শংসাপত্র রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে৷ এদিন আদালত সাফ জানায়, এই ঘটনার সত্যাতা তদন্ত করবেন জেলাশাসক। মহকুমা শাসকরা যদি মিথ্যে শংসাপত্র দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি এই বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে অনগ্রসর শ্রেণির উন্নয়ন দফতর সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷