প্যাচপেচে গরমে নাজেহাল বাংলা, ১০ জেলাায় চলবে তাপপ্রবাহ, বর্ষা নিয়ে কী জানাল মৌসম ভবন?

প্যাচপেচে গরমে নাজেহাল বাংলা, ১০ জেলাায় চলবে তাপপ্রবাহ, বর্ষা নিয়ে কী জানাল মৌসম ভবন?

 কলকাতা: প্যাঁচপ্যাঁচে গরম৷ সকাল থেকেই ঘামে ভিজছে জামা৷ বেলা একটু বাড়তেই মাথার উপর গনগনে সূর্যের তেজ। গরম হাওয়ায় গায়ে যেন ছ্যাঁকা লাগছে৷ সূর্য অস্ত গেলেও শান্তি নেই। রাতেও ভালই গরম মালুম হচ্ছে৷ গত কয়েক দিন ধরে টানা গরমে হাঁফ ধরেছে কলকাতা-সহ রাজ্যবাসীর। এদিকে, হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। সময় এসে গেলেও বর্ষার দেখা মেলেনি। গোটা রাজ্যের মানুষ যখন বৃষ্টির প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন, তখন হাওয়া অফিস জানাল, চলতি সপ্তাহে তীব্র দাবদাহে পুড়বে বাংলা। কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে৷ 

আলিপুর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পুরুলিয়া,ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের দু’একটি জায়গায় তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি থাকবে। বুধবার থেকে শনিবার হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া এবং বীরভূমে  তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৭ জুন। দু’একটি জায়গায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা থাকছে। স্বস্তি নেই উত্তরেও৷ দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরের জেলাগুলিতেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকতে পারে৷ মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত দুই দিনাজপুর ও মালদহের দু’একটি জায়গায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর৷ তবে কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা নেই৷ 

সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি৷ মঙ্গলবার মহানগরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। পশ্চিম দিক থেকে শুকনো গরম বাতাস ঢোকার জেরেই এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর৷ আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই৷ তবে উত্তরের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে৷ 

দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিমী মৌসুমী বায়ুর এগিয়ে যাওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সাগরে। আরব সাগরে নিম্নচাপ অঞ্চল সৃষ্টির জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে বর্ষা আগমনে বিলম্ব ঘটবে৷  সাধারণত দেশে ১ জুন বর্ষা ঢোকে। ১৫ জুনের মধ্যে তা গোটা দেশে পৌঁছে যায়। তবে এবার বর্ষা আসতে বিলম্ব হবে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 5 =