পার্কিনসন রোগ মানেই কাঁপুনি? এইভাবে সারবে রোগ

কলকাতা: আপনার কী হাত পা কিংবা ঘাড় খুব অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপে? পার্কিনসন রোগটা কিন্তু সাংঘাতিক। আদৌ কী এর কোনো চিকিৎসা আছে? কোন কোন সিম্পটম দেখলে…

কলকাতা: আপনার কী হাত পা কিংবা ঘাড় খুব অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপে?
পার্কিনসন রোগটা কিন্তু সাংঘাতিক। আদৌ কী এর কোনো চিকিৎসা আছে?
কোন কোন সিম্পটম দেখলে সাবধান হবেন? কাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার রিস্ক বেশি?

এই রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শটা জানা খুব দরকার। কিন্তু প্রথমেই জানাবো পারকিনসন রোগটা আসলে কি। সোজা কথায় পার্কিনসন একটি স্নায়ুর রোগ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জটিল হয়ে ওঠে। বিশিষ্ট চিকিৎসকরা বলছেন, চিকিৎসা না করিয়ে ফেলে রাখলে এই রোগের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়ে। যার ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায় এবং তাড়াতাড়ি মৃত্যু হয়। তাই, কার্যকর চিকিৎসার জন্য প্রথমে রোগ নির্ণয় করাটা খুব ইম্পরট্যান্ট।

যদি সিম্পটমের কথা বলা হয়, তাহলে বলতে হবে এই রোগের লক্ষণ এতটাই সূক্ষ্ম যে প্রাথমিক পর্যায় ধরা পড়ে না। বেশ কয়েক সপ্তাহ অথবা মাস কেটে যাওয়ার পর এটা ধরা পড়ে। ততদিনে লক্ষণের তীব্রতাও বৃদ্ধি পায়।পারকিনসন্স রোগটির কারণে ব্যক্তি চলাফেরা করার শক্তি হারিয়ে ফেলে, মাংসপেশী শক্ত হতে শুরু করে, হাতে-পায়ে এবং হাত পা ঘাড় কাঁপতে শুরু করে। যা মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা এবং রোগীর লাইফস্টাইলকে এফেক্ট করে। এটাতে প্রাথমিকভাবে হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয়। এই মাল্টিসিস্টেম ডিসঅর্ডার এর আরও উপসর্গগুলো হল হাইপোসমিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বিষণ্নতা। কম্পন কিন্তু সবার না-ও হতে পারে। এটা মাথায় রাখবেন। আর, ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা দেয়। আবার মহিলাদের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি পুরুষরা এই রোগে আক্রান্ত হন।

এবার আসা যাক চিকিৎসা পদ্ধতিতে, আদৌ কি এর কোনো চিকিৎসা আছে? গভীর মস্তিষ্কের উদ্দীপনা মানে ডিপ ব্রেন স্টিমুলেশন- ডিবিএস ৭৫% রোগীদের ক্ষেত্রে বেশ উপকার করে, ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমায় এবং আয়ু বাড়ায়। ডিবিএস চিকিৎসার বিপুল খরচকে কমিয়েও আনতে পারে। জীবনযাত্রার মান উন্নত করে, ক্রমশ ধীরগতির হাঁটাচলা এবং মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলোকে কমিয়ে আনে। তাছাড়া ব্যায়াম এবং একটি মেডিটেরানিয়ান ডায়েট ও এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী। মোদ্দা কথা, নিয়মিত ব্যায়াম, একটি সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, দুশ্চিন্তা কমানো আর সুস্থ জীবনযাপনই রোগের অগ্রগতি কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে, কম্পন মানেই যে পার্কিনসন, তা কিন্তু নয়। তাই সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়টা জরুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *