নয়াদিল্লি: নোভেল করোনা সংক্রণ নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ৷ করোনার মরন থাবায় বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা৷ যার জেরে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দেশবাসীর কপালে৷ এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷
নোভেল করোনা সংক্রমণের জেরে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল৷ তিনি এদিন বলেন, সৌভাগ্যবশত এই মুহূর্তে ভারতীয় সমাজে কোনও সংক্রমণ নেই৷ যাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁদের দেহে এই ভাইরাস এসেছে বাইরে থেকে৷ তাঁদের সংস্পর্শে থেকে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের আত্মীয় পরিজন ও ঘনিষ্টরা৷
তিনি জানান, করোনা মোকাবিলায় আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত ভিসা স্থগিতের নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একমাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সীমান্তও। ভারতের বিদেশি নাগরিকত্ব পাওয়া কার্ডহোল্ডারদের (ওসিআই) দেওয়া ভিসা ফ্রি ভ্রমণের সুবিধাতেও আনা হয়েছে স্থগিতাদেশ। ১৩ মার্চ থেকে কার্যকর হবে এই নির্দেশ। যে কোনও বিদেশী নাগরিক যদি বিশেষ কারণে ভারতে ভ্রমণ করতে চান সেক্ষেত্রে তারা নিকটতম ভারতীয় হাইকমিশনে যোগাযোগ করতে হবে।
অন্যদিকে, মালদ্বীপ, মায়ানমার, বাংলাদেশ, চিন, আমেরিকা, মাদাগাস্কার, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পেরু থেকে ৯০০ জন ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানালেন আগরওয়াল৷ তিনি আরও জানান, সারা ভারতে ৫২টি কেন্দ্রে করোনা সংক্রমণ পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে৷ রয়েছে ৫৬টি নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র৷ আগরওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের হাতে এক লক্ষ টেস্টিং কিটস রয়েছে৷ অতিরিক্ত টেস্টিং কিটসের জন্য বরাত দেওয়া হয়েছে৷ খুব শীঘ্রই সেগুলি আমাদের হাতে আসবে৷’’ অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ১২ রাজ্য করোনা ছড়িয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷
যুগ্ম সচিব এদিন বলেন, মাস্ক ব্যবহার সবসময় জরুরি নয়৷ সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে দূরত্ব বজায় রাখলে মাস্কের প্রয়োজন নেই৷ করোনা নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি৷
এদিকে, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং লাদাখে নতুন করে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে৷ এই নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৩৷ বিমানবন্দরগুলিতে প্রায় ১০,৫৭,৫০৬ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে বলেও জানায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷