নয়াদিল্লি: গোটা বিশ্বে করোনার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ঢুকেছে ভারতেও। তবে প্রতিটি রাজ্যে বিশেষ সতর্কতা জারি করছে সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফেও একের পর এক নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বলা হয়েছে, তেমনই একাধিক পদক্ষেপের কথা শোনা গেছে। জনসাধারণের উদ্দেশ্যে পরস্পরের মধ্যে কমপক্ষে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ জারি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল।
জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি আগেই হয়েছিল। এবার দু'জন ব্যক্তির মধ্যে দূরত্বও বেঁধে দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব। তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১১৪। শেষ চারটি খবর পাওয়া গেছে উড়িষ্যা, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ ও কেরল থেকে। সংক্রমণ রুখতে স্কুল-কলেজ বন্ধের পাশাপাশি, সুইমিং পুল, শপিং মল বন্ধের কথাও এদিন শোনা গেছে তাঁর মুখে। করোনা মোকাবিলায় সার্ক নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার উদ্যোগ থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বলেই এদিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে দামু রবি জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এর আগে জানানো হয়েছিল, নেপালি, ভুটানি বা অন্য কোনও দেশের হোক না কেন, যেকোনও পর্যটকের শরীরের কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা দিলে এবং তিনি যদি ইতালি, ইরান, চিন, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও কোরিয়া এই সাতটি দেশে ভ্রমণ করেন তবে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে সব নিয়ম মেনে বিচ্ছিন্ন রাখা হবে। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষে লব আগরওয়াল এর আগে জনগণের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা এখন সুস্থ আছেন। ৪০০০ জনের মধ্যে ৮১ জনের শরীরে পজিটিভ পাওয়া যায়। তাদের ওপর বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। তবে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন সন্দেহভাজনের সংখ্যা ৫০০০ হাজারেরও বেশি। তাঁদের ওপর বিশেষ নজরে রাখছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।