কলকাতা: করোনা ভাইরাসের সুবাদে আই আর থার্মোমিটারের সঙ্গে এখন সকলেই পরিচিত। রাস্তায়-ঘাটে স্টেশন চত্বরে কিংবা পাড়ায় পাড়ায় সরকারি উদ্যোগে করোনাকালে অন্তত একবার হলেও সকলের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে এই ধরণের থার্মোমিটারে। ব্যাটারি চালিত এই তাপ নিয়ামক যন্ত্র নিয়েই ভোট বাজারে শুরু হল শোরগোল।
করোনা আবহের রেশ পুরোপুরি কাটতে না কাটতেই রাজ্য জুড়ে বেজে গেছে ভোটের দামামা। তাই অতিমারীর ভ্রুকুটিকে সঙ্গে নিয়েই হতে চলা নির্বাচনে অন্যান্য বারের তুলনায় প্রযুক্ত নিয়মবিধির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। সতর্কতাবশত ভোট চলাকালীন বুথ গুলিতে আই আর থার্মোমিটার রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই অসন্তোষ ছড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষক মহলে।
কমিশনের পাঠানো আই আর থার্মোমিটার কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে, এদিন নির্দেশিকা পত্রে এমনটাই জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। আর এই নির্দেশ ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানিয়েছেন, “যেখানে ভোটগ্রহণের যন্ত্র খারাপ হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে সেখানে একটা থার্মোমিটার খারাপ হবে কি না তার গ্যারান্টি কে দেবে?” স্বাস্থ্য দফতরের সিদ্ধান্তকে তুঘলকি বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। জানা গেছে, এর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারকে রিলিজ দিতেও রাজি হয়নি কমিশন। কিংকর অধিকারীর কথায়, “থার্মোমিটারের দায় প্রিজাইডিং অফিসারের ঘাড়ে চাপানো চলবে না। এই থার্মোমিটার পোলিং অফিসাররা ব্যবহার করবেন না, ব্যবহার করবেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। এর জন্য রিলিজ না দেওয়ার হুমকি অত্যন্ত অপমান জনক।”
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন শিক্ষক মহলের একাংশ। এমতাবস্থায়, থার্মোমিটার নিয়ে শুরু নতুন বিতর্ক ভোট উত্তাপকে বাড়িয়ে দিয়েছে আরো। রিসিভিং সেন্টার থেকে ভোট কর্মীগণ থার্মাল গান নেবেন না, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কিংকর অধিকারী।