কলকাতা: রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট চিকিৎসকদের হাতে চলে এসেছে৷ প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্ষীয়ান বাম নেতার শরীরে সাঙ্ঘাতিক কোনও অসুখ ধরা পড়েনি৷ যদিও তাঁর রিপোর্ট নিয়ে সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ আলোচনায় বসবে তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড৷ তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রক্তে সিআরপির পরিমাণ কত, তার জানার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকেরা।
রক্তে সিআরপি-র পরিমাণ কম থাকলে বোঝা যাবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরে সংক্রমণের মাত্রা কমেছে। যার অর্থ হল, নতুন অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য ওষুধ কাজ করছে৷ শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময়ে তাঁর রক্তে সিআরপির মাত্রা অনেকটাই বেশি ছিল৷ তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দু’টি ফুসফুসই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আগে থেকেই তাঁর ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত থাকায় ‘লাং ফাইব্রোসিস’-হয়েছে। চিকিৎসাবিদ্যার পরিভাষায় যায় অর্থ হল, ফুসফুসের টিস্যুগুলি শক্ত এবং কঠিন হয়ে যাওয়া।
রবিবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে এসে দেখে গিয়েছিলেন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডল। ইকো কার্ডিয়োগ্রাম করান চিকিৎসক ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রিপোর্ট ভাল বলেই জানা গিয়েছে৷ মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বুদ্ধদেববাবুর ‘কার্ডিয়াক ফাংশন’ ভালই রয়েছে। তাই ফুসফুসের অবস্থা খারাপ থাকলেও উনি লড়াই করতে পারছেন। শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে। রাইলস টিউবের মাধ্যমে তাঁকে খাবার দেওয়া হচ্ছে। কোনও সমস্যা ছাড়াই তাঁর খাদ্যনালী দিয়ে খাবার শরীরে ঢুকছে। এটা ভাল লক্ষণ।’’