রাঁচি: দেশে উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছে করোনা পরিস্থিতি৷ চারিদিকে স্বজনহারা কান্না৷ আকাল দেখা দিয়েছে অক্সিজেন, ওষুধে৷ এমনকী অপর্যাপ্ত হাসপাতালের বেড৷ এই পরিস্থিতিতে মন কি বাত অনুষ্ঠানে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ যা নিয়ে এবার কড়া টিপ্পনি করলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন৷ প্রধানমন্ত্রী শুধু মনের কথাই বলেন, কারও কথা শোনেন না৷
আরও পড়ুন- ভোটের ফল ঘোষণা হতেই ফের আকাশ ছোঁয়া পেট্রোল-ডিজেল, টানা চারদিন বাড়ল দাম
জানা গিয়ছে করোনা আবহে ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীপ পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে ফোন করেছিলেন নমো৷ কিন্তু সেই ফোনালাপ ছিল এক তরফা৷ এমনই অভিযোগ করলেন সোরেন৷ তাঁর কথায়, কোনও কথা বলার সু়োগই পাননি তিনি৷ এদিকে ঝাড়খণ্ডে ৩ কোটিরও বেশি মানুষের বাস৷ অথচ এই রাজ্যের জন্য পাঠানো হয়েছে ২ হাজার ১৮১ শিশি রেমডেসিভির! কী ভাবে ঠেকাবেন সংক্রমণ? কোনও পথই দেখতে পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী৷ যা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিযলেন তিনি৷ হেমন্ত সোরেন বলেন, একদিন মূলত শহরেই সংক্রমণের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল৷ কিন্তু এবার গ্রামাঞ্চলেও সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে৷ এই পরিস্থিতিতে মোদীকে বিঁধে সোরেনের টুইট, ‘‘আজ প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন৷ ফেনে উনি ওঁনার মনের কথাই বলে গেলেন৷ ভালো হত যদি কিছু কাজের কথা বলতেন এবং কাজের কথা শুনতেন৷
জানা গিয়েছে, এদিন নমো ফোন করে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা জানতে চাননি৷ এমনকী রাজ্যের কী কী প্রয়োজন সেই কথাও জানতে চাননি৷ রাজ্যে যে ওষুধের চরম অভাব রয়েছে, সেই কথা বলার সুযোগটুকুও পাননি তিনি৷ এর পরেই শ্লেষ উগড়ে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এদিকে কয়েকদিন আগে সারা দেশজুড়ে ৫৮১টি অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের ঘোষণাও করেছিলেন নমো৷ কিন্তু এর মধ্যে নাম ছিল না ঝাড়খণ্ডের৷
আরও পড়ুন- দেশে বেলাগাম করোনা, সমস্ত রেকর্ড ভেঙে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত ৪ লক্ষ ১৪ হাজার
পাশাপাশি সোরেন আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের কাছ থেকে ৫০ হাজার শিশি রেমডেসিভির কিনতে চেয়েছিল তাঁর সরকার৷ কিন্তু সেইটুকু অনুমতিও দেয়নি কেন্দ্র৷ রাজ্যের হাতে টিকা নেই৷ অথচ ১৮ ঊর্ধ্ব সকলকে টিকা দেবে বলে ঘোষণা করে দিয়েছে কেন্দ্র৷