জনতা কার্ফুর দিনেও খোলা স্কুল! রাজ্যের নির্দেশকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলছে শিক্ষক সেল

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আগামী রবিবার জনতা কারফিউ জারির পরামর্শ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার ও মঙ্গলবার প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের মিডডে মিলের চাল ও আলু দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্কুলগুলির উদ্দেশে। তার জন্য রবিবার খোলা থাকবে স্কুল। অর্থাৎ জনতা কারফিউর দিন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে পরিকল্পিতভাবে কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতা বলেই আঙুল তুলেছে বিজেপি টিচার্স সেল (পশ্চিমবঙ্গ)। এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে কেন প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য মিডডে মিল বরাদ্দ হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। 

কলকাতা: বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আগামী রবিবার জনতা কারফিউ জারির পরামর্শ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার ও মঙ্গলবার প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের মিডডে মিলের চাল ও আলু দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্কুলগুলির উদ্দেশে। তার জন্য রবিবার খোলা থাকবে স্কুল। অর্থাৎ জনতা কারফিউর দিন। তাই পশ্চিম বর্ধমান জেলা শিক্ষা পরিদর্শকের নির্দেশকে পরিকল্পিতভাবে কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতা বলেই আঙুল তুলেছে বিজেপি টিচার্স সেল (পশ্চিমবঙ্গ)। বিজ্ঞপ্তিতে কেন প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য মিডডে মিল বরাদ্দ হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির৷

রোনা সতর্কতার জেরে স্কুল, কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে শুক্রবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুল ছুটি থাকার দরুন প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মিডডে মিলের চাল ও আলু দেওয়া হবে। তার জন্য আগামী সোম ও মঙ্গলবার চলবে এই কর্মসূচি। যার প্রস্তুতি হিসেবে রবিবার স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। তার জেরেই বিজেপি টিচার্স সেল অভিযোগ করেছে শিক্ষামন্ত্রকের বিরুদ্ধে।

টিচার্স সেলের তরফে দীপল বিশ্বাস বলেছেন, 'এই নির্দেশের একটাই কারণ, আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রী যে 'জনতা কারফিউ'র ডাক দিয়েছেন, তাকে উপেক্ষা করা বলে আমি মনে করি। তাই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ২২ মার্চ জনতা কারফিউ-কে সফল করার জন্য প্রত্যেক শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর কাছে আবেদন করছি এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি স্কুল বন্ধ রাখার আহ্বান করছি।' এছাড়াও তিনি বলেন, 'শনিবারের মধ্যে এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করছি। তিনি পরিষ্কার করে বলুন, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি জনতা কারফিউ সমর্থন করছেন কি করছেন না। যদি সমর্থন করেন, তাহলে অবিলম্বে শিক্ষা দপ্তরের যাঁরা উদ্ভুত কোভিড ১৯ আপদকালীন স্থিতিতে দেশের সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে এই ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক নির্দেশের জন্য দায়ী, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন।'

এদিকে বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির কথা। উল্লেখ নেই প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কথা। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্যও যাতে বরাদ্দ করা হয়, সেই মর্মে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডার তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + 10 =