hc
কলকাতা: কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় আলিপুর নিম্ন আদালতের বিচারক কলকাতা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল৷ নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন জানায় সিবিআই৷ নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা৷ ফলে আপাতত নিম্ন আদালতের নির্দেশ কার্যকর হবে না। একইসঙ্গে সিবিআই আধিকারিকদের যাতে হেনস্থা করা না হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছে উচ্চ আদালত৷
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ প্রেসিডেন্সি জেলে বসেই চিঠি পাঠান আলিপুর নিম্ন আদালতের বিচারক এবং হেস্টিংস থানায়৷ তাঁর অভিযোগ, ইডি এবং সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে জেরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। এরপরেই কুন্তলের চিঠি মামলায় হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়৷ তিনি ইডি ও সিবিআই উভয়কেই চিঠির বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন৷ ২১ অগাস্ট নিম্ন আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল তার উপর স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
এদিন ইডি আদালতে জানায়, কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে নিম্ন আদালত তদন্তের বিষয়ে রাজ্য পুলিশের অনুপ্রবেশের রাস্তা করে দিতে পারে না। এই ধরনের নির্দেশকে অবিলম্বে খারিজ করা উচিত। নিম্ন আদালত বিভিন্ন সময়ে এমন কিছু নির্দেশ দিয়েছে যার জন্য ইডির আধিকারিকদের হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে৷
অন্যদিকে ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রির সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি লিপ্স এবং বাউন্স-এর আদৌ কোনও যোগ রয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে পরের শুনানিতে রিপোর্ট দিতে হবে ইডি ও সিবিআই-কে। পাশাপাশি এই কোম্পানির ডিরেক্টর ও সিইওদের সম্পত্তির পরিমানও জানাতে হবে৷ ফিল্ম জগতের কোনও ব্যাক্তি যুক্ত থাকলে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণও প্রকাশ্যে আনতে হবে বলে নির্দেশ বিচারপতি সিনহার।