‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ ইস্যুতে মামলার অনুমতি হাই কোর্টের, তবে খারিজ দ্রুত শুনানির আর্জি

‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ ইস্যুতে মামলার অনুমতি হাই কোর্টের, তবে খারিজ দ্রুত শুনানির আর্জি

নয়াদিল্লি: একুশের মঞ্চ থেকে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও-এর ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷  এর বিরুদ্ধে  কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করে বিজেপি৷ সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেয় কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ তবে এই সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিল বিজেপি৷ সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত৷ ইতিমধ্যে এই বিষয়ে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

গত শুক্রবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ‘বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও’-এর ডাক দিয়েছিলেন  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে মঞ্চে উঠে সেই কর্মসূচি কিছুটা হালকা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ কিন্তু, তৃণমূলের সেই কর্মসূচির জেরেই এফআইআর করেন শুভেন্দু। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি। বিরোধী দলের আইনজীবী সূর্যনীল দাস সোমবার আদালতে বলেন, এই ধরনের কর্মসূচি একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে। এই মর্মে তিনি মামলা রুজু করার অনুমতি চাইলে, তা দেওয়া হয়। তবে মামলার দ্রুত শুনানির অনুরোধ খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ৷ 

গত শুক্রবার তৃণমূল সমর্থকদের উদ্দেশে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘আগামী ৫ অগাস্ট থেকে সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্য স্তরের বড় মোজো ছোট সব বিজেপি নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করতে হবে। তবে বাড়িতে কোনও বৃদ্ধ মানুষ থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। বিজেপি নেতা বাড়ি থেকে বেরোবেনও না, ঢুকবেনও না।’’ তবে তাঁর সাফ নির্দেশ ছিল, ‘‘কারও গায়ে হাত দেবেন না। প্রথমে এখানে গণঘেরাও কর্মসূচি হবে। তারপর দিল্লি ঘেরাও হবে।’’ পরে অবশ্য সেই কর্মসূচি   কিছুটা পরিবর্তন করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘কর্মসূচি হবে ব্লক স্তরে। ঘেরাও হবে বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে, প্রতীকী ভাবে। যাতে কেউ বলতে না পারেন, বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ শনিবার রাতে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপধ্যায়ের বিরুদ্ধে ই-মেলে অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু। এর পর হাই কোর্টে মমলা দায়ের করা হয়৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *