কলকাতা: পঞ্চায়েতে ভোট গ্রহণ ও গণনার দিন দলের দুই মহিলা প্রার্থীর সঙ্গে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছে বিজেপি। সোমবার ওই দুই প্রার্থী কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে সশরীরে উপস্থিত হন৷ তাঁদের পুলিশ এসকর্ট দিয়ে বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ।
মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই চাপে পড়েছে বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা আরও বেশি করে তুলে ধরার কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ গত ২১ জুলাই সাংবাদিক বৈঠক করে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বাংলায় মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা খতিয়ে দেখতে পাঁচ জন মহিলা সাংসদকে নিয়ে একটি টিম গঠন করে বাংলায় পাঠান বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। পাশাপাশি কলকাতা হাই কোর্টেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপি’র ওই দুই মহিলা প্রার্থীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এদিন কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরই প্রিয়াঙ্কা বলেন, আদালতের নির্দেশকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। মহামান্য বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। তাঁদের উপর যেন কোনও রকম হামলা না হয়। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে হবে।
বিজেপির ওই দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন হাওড়া জেলার একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বলেন, ভোটের দিন ও গণনার দিন তৃণমূলের লোকজন বুথের মধ্যে ও গণনা কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। তিনি জানান, একটা সরু প্যাসেজ দিয়ে বুথে ঢুকতে হচ্ছিল। সেখানে তৃণমূলের কয়েক জন কর্মী তাঁর গায়ে হাত দিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন।
তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার শুনানি এখনও চলছে। মামলা চলার মাঝে তাঁরা যাতে নিরাপত্তার অভাব বোধ না করেন, সেটাই সুনিশ্চিত করতে চেয়েছে আদালত।