লাইভ স্ট্রিমিং নয়, অভিষেক-পত্নীর মামলায় ইডিকে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

লাইভ স্ট্রিমিং নয়, অভিষেক-পত্নীর মামলায় ইডিকে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

hc

কলকাতা: নাগরিক হিসাবে গোপনীয়তা বজায় রাখার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর বক্তব্য ছিল, সংবাদমাধ্যমে পারিবারিক গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অর্ধসত্য খবর প্রকাশিত হচ্ছে। সংবিধান মেনে রক্ষাকবচের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ছিল এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি৷ ইডি ও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ শোনাল কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চ৷ সেই নির্দেশের মাধ্যমে ক্ষমতা বেধে দিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।

আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে বলা হয়েছে, এবার থেকে যে কোনও ক্ষেত্রে ‘সার্চ অ্যান্ড সিজার’-এর সময় কোনও ভাবেই লাইভ স্ট্রিমিং করা যাবে না। অভিযান শুরুর আগে কোনও ভাবেই এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানাতে পারবে না ইডি। সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে গিয়ে  তল্লাশি অভিযান বা রেইড করা যাবে না। সার্চ অ্যান্ড সিজার’-এর বিষয়ে আগে থেকে কোনও কিছু প্রকাশ্যে আনা যাবে না। সংবাদমাধ্যম যখন কোনও খবর করবে, তখন অভিযুক্তের ছবি ব্যবহার করা যাবে না। চার্জশিট পেশ করার আগে অভিযুক্তের ছবি ছাপা যাবে না। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে।

রুজিরা রক্ষাকবচের আর্জির প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেছিলেন, রুজিরা দেবী নিজেকে থাইল্যান্ডের নাগরিক বলে দাবি করেন। ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অভিষেক-পত্নীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। পালটা কিশোর দত্ত বলেছিলেন, ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে কোথাও লেখা নেই যে সেটি শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + nineteen =