আসছে ভূত চতুর্দশী, আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে দেশের এই রেল স্টেশনগুলি! এখানে যে ভূতেদের বাস

আসছে ভূত চতুর্দশী, আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে দেশের এই রেল স্টেশনগুলি! এখানে যে ভূতেদের বাস

নয়াদিল্লি: প্রতিদিনের দৌড়ঝাঁপ ভুলে মাঝে মধ্যেই মন চায় কু-ঝিকঝিক করতে করতে দূরে কোথাও  হারিয়ে যেতে৷ শীতের মরশুমে  হিমেল হাওয়া গায়ে মেখে ট্রেনে করে সমুদ্রে কিংবা পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা৷ কিন্তু রেল সফরের মাঝেই যদি হঠাৎ কোনও স্টেশনে চোখ আটকায় অলৌকিক কিছুতে?  যা দেখে মেরুদণ্ডের মধ্যে দিয়ে বয়ে যায় হিমেল স্রোত, থমকে যায় চারিপাশ, গ্রাস করে এক অজানা আতঙ্ক! সেই গা ছমেছমে স্টেশনের স্মৃতি চিরকালের জন্য গেঁথে যায় মনের এক কোণে৷ 

আরও পড়ুন- দীপাবলীর আগে ‘রোজগার মেলার’ সূচনা মোদীর, আজই ৭৫,০০০ জনকে চাকরি

আমাদের দেশে এমন কিছু স্টেশন রয়েছে, যেখানে লুকিয়ে রয়েছে অলৌকিক কোনও কাহিনী৷ এই সব জায়গায় তেনাদের বাস৷ মানুষের মতো তেনারাও তো সর্বত্র বিরাজমান৷ বিশেষ করে পুরনো বাড়ি, জীর্ণ হোটেল, জঙ্গল, পাহাড়,শ্মশান তাদের বড্ড প্রিয়৷ এর বাইরেও যে কোনও জায়গায় থাকতে পাড়ে তেনাদের আখড়া। বাদ নয় রেল স্টেশনও! 

ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এমন বেশ কিছু রেল স্টেশন, যেখানে রাতের অন্ধকার নামলেই যেন গায়ে কাঁটা লাগে৷ সেই সব স্টেশনে যেতে রীতিমতো ভয় পান যাত্রীরা। কেন এমন ভয়? এর উত্তর খুঁজতে গেলে বিস্তর বিতর্ক দেখা দিতে পারে৷ কেউ বলেন অলৌকিক শক্তি৷ কেউ বলে নেহাতই মনের ভুল৷ চলুন, এই ভূত চতুর্দশীর আগে ‘ঘুরে আসি’ এমনই কিছু গা ছমছম করা রেল স্টেশন থেকে৷ 

এমন এক স্টেশন রয়েছে আমাদের রাজ্যেও৷ সন্ধ্যার পর পশ্চিমবঙ্গে বেগুনকোদর স্টেশনে আর কোনও ট্রেন দাঁড়ায় না। কোনও যাত্রী স্টেশনমুখোও হন না। লোকমুখে শোনা যায়, এই স্টেশনে নাকি আজও এক মহিলা ট্রেনের পিছু পিছু ছুটে যায়। এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য নাকি অনেকে স্বচক্ষে দেখেওছেন। তার পর থেকেই এই স্টেশনে ট্রেন থামা বন্ধ হয়ে যায়৷ দীর্ঘ ৪২ বছর পর ফের সেখানে ট্রেন থামা শুরু হয়েছে।

এই তালিকায় রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর রেল স্টেশন। কথিত আছে, বহু বছর আগে হরি সিং নামে এক সিআরপিএফ এখানে নেমেছিলেন। কোনও এক কারণে আরপিএফ এবং টিটিইদের হাতে আক্রান্ত হয়ে স্টেশনেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ তার পর থেকেই এই স্টেশনে নানা রকম অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ঘটতে দেখা গিয়েছে। তাই রাতের বেলায় এই স্টেশনের পথ এড়িয়েই চলেন যাত্রীরা।

এর পর বলব হিমাচল প্রদেশের সিমলায় অবস্থিত বারোগ স্টেশনের কথা৷ এই স্টেশনের কাছে ৩৩ নম্বর টানেলে যেতে রীতিমতো হাড়হিম হয় যাত্রীদের। সেখানে নানারকম অলৌকিক ঘটনার সাক্ষীও থেকেছেন তাঁরা। জানা যায়, এই চত্বরেই গুলি করে আত্মহত্যা করেছিলেন ইংরেজ রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার কলোনেল বারোগ৷ অনেকেরই বিশ্বাস, আজও এই স্টেশন চত্বর ও প্ল্যাটফর্মে ঘুরে বেড়ায় তাঁর অতৃপ্ত আত্মা৷  

উত্তরপ্রদেশের নৈনি রেল স্টেশনেও অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের সাক্ষী থেকেছেন বহু মানুষ। রাতে এই স্টেশনে যেতেও ভয় পান অনেকে। লোকমুখে শোনা যায়, স্টেশন লাগোয়া নৈনি জেলে এক সময় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উপর প্রবল নির্যাতন চলত। অনেকেরই বিশ্বাস, তাঁদের আত্মা এখনও এখানে ঘুরে বেড়ায়৷ 

সবশেষে বলি মহারাষ্ট্রের ডম্বিভলি রেল স্টেশনের কথা৷ এখানে নাকি এক মহিলার আত্মা আজও ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত। শোনা যায়, বহু কাল আগে এই স্টেশনেই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি৷ কিন্তু, ট্রেন আসার আগেই প্ল্যাটফর্মের উপর তাঁর অপমৃত্যু হয়। আজও তাঁর উপস্থিতি অনুভব করেন বহু যাত্রী! যেন কেউ বসে রয়েছে ওই খানে!