কলকাতা: প্রয়োজনে তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে যোগদানের হুঁশিয়ারি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য৷ ‘মাস্টারমশাই’য়ের পর এবার বিধায়ক পদ থেকেব ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না৷ জেলা নেতৃত্বের কাছে তিনি তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর৷ তবে আচমকা কেন বিধাধায়ক ও রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করলেন বেচারাম? শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা৷
রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের দল ছাড়ার হুঁশিয়ার পর থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে সিঙ্গুরের রাজনীতি৷ এবার সেই উত্তাপের আবহে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বেচারাম মান্না৷ তৃণমূল সূত্রের খবর, ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পাশাপাশি রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে দেওয়ারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন হরিপালের বিধায়ক৷ জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বকেও তিনি তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বলে খবর৷ ইস্থফা দিতে চেয়ে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও খবর৷
আজ সিঙ্গুর থেকে কলকাতায় আসেন বেচারাম৷ দুপুরে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ঘরে বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন তিনি৷ তারপর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান৷ জানা গিয়েছে, নেতৃত্বকে তিনি তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন৷ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনও ইস্তফাপত্র আসেনি৷ যদিও দু’দিন আগেই বিধানসভার গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বেচারাম মান্না বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন৷ এমনকি দল ছাড়তে পারেন বলেও দিয়ে রাখেন ইঙ্গিত৷ এবার বেচারামের ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ নতুন করে অস্বস্তি বাড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরে৷
হুগলিতে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে বেচারামের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের৷ সম্প্রতি তা চরমে উঠেছে৷ ব্লক সভাপতি নির্বাচন ঘিরেও সংঘাতে জড়িয়েছেন দু’ই বিধায়ক৷ এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলে দল বদল করার বিষয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন রবীন্দ্রনাথ৷ গোটা বিষয়টি নিয়ে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে বলেছে শোনা যাচ্ছে৷ সূত্রের খবর, বুধবার রাতে বেচারামের ফোনে রীতিমতো ধমক এসেছে শীর্ষস্তর থেকে৷ বুধবার রাতে ফোনে ধমক আসার পর বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গিয়ে পদত্যাগের ইচ্ছা নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ সূত্রের খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তড়িঘড়ি বেচারামকে তৃণমূল ভবনে ডেকে পাঠানো হয়৷ সেখানে শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন হরিপালের বিধায়ক৷ আপাতত বেচারামের ক্ষোভ কিছুটা কমানো গিয়েছে বলে খবর৷