কলকাতা: প্রতিবারের মতো এবারেও শিক্ষারত্ন প্রদান নিয়ে বৈষম্য ও বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই একাধিক শিক্ষক সংগঠন প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষকদের আরও বেশি করে শিক্ষারত্ন প্রদানের দাবি করেছে। সংগঠনের মতে, তাঁরা অনেক বেশি প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করেন। ফলে তাঁদের শিক্ষারত্ন প্রদান করলে তাঁরা কাজ অনেক বেশি উৎসাহ পাবেন। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকারের কথায়, একাধিক জেলার শিক্ষকেরা এ বার শিক্ষারত্ন পেয়েছেন। আবার অনেক জেলাতেই শিক্ষারত্ন প্রাপকের সংখ্যা খুব কম। বিশেষত প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষারত্ন প্রাপকের সংখ্যা নগণ্য। সেই কারণেই বৈষম্যের অভিযোগ এসেছে।
আগেও খবরে প্রকাশ পেয়েছিল অনেক অঞ্চলেই করোনা মহামারীর মধ্যেও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন। এমনকি তাঁরা পড়ুয়াদের পরিবারকেও সাহায্য করেছেন। শিক্ষারত্ন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এই বছর। অন্যদিকে গ্রামের শিক্ষকদের অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা থাকতে চেয়েও পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে পারেননি। অনেক জায়গায় অনলাইন পড়াশোনা করানো সম্ভব হয়নি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁড়া শিক্ষারত্ন পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছেন।
পাশাপাশি ভারতের প্রাক্তন ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে দেশ জুড়ে শোকের ছায়া চলছে। সেই সূত্রে আজ, শনিবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান কলকাতার রবীন্দ্র সদনে অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্তও বদলানো হয়েছে। অনলাইন মাধ্যমেই এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষারত্ন প্রাপকদের নিজেদের নিকটতম জেলাশাসকের দফতরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে, সেখানেই তাঁদের এই সম্মান জানানো হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।
অন্যদিকে, উচ্চ মাধ্যমিক চুক্তি শিক্ষক সমিতির কল্যাণ সরকার জানিয়েছেন, শিক্ষক দিবসের দিন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে ফুল ও শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে আসবেন। করোনা বিধি মেনে সাইকেলে করে যাত্রা করবেন। পাশাপাশি পে স্কেল, স্থায়ীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে দাবি পেশ করা হবে। ওপর দিকে পে স্কেল এখনও অধরা থাকায় পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধি ভগীরথ ঘোষ বলেছেন আজ ‘পার্শ্ব শিক্ষক বঞ্চনা দিবস’ পালন করা হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়।