এবার পুজোয় ঠাকুর দেখা ট্রামে চড়ে, থাকছে লোভনীয় খাবারও, বিশেষ ভাবনা পরিবহণ দফতরের

এবার পুজোয় ঠাকুর দেখা ট্রামে চড়ে, থাকছে লোভনীয় খাবারও, বিশেষ ভাবনা পরিবহণ দফতরের

কলকাতা: হাতে আর মাত্র ক’দিন৷ ঘরে আসবে উমা৷ দুর্গা পুজো উপলক্ষে এবারও শহরে বিশেষ পুজো পরিক্রমার আয়োজন করেছে প্রশাসন৷ সেখানে রয়েছে চমক৷ কারণ এবার আপনারা পুজো দেখতে পারবেন ট্রামে চেপে৷ এর জন্য রয়েছে বিশেষ প্যাকেজ৷ কলকাতায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য এসি ট্রামের ব্যবস্থা করছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। এই প্রথম রাজ্য পরিবহণ দফতরের তরফে ট্রামের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উত্তর কলকাতা এবং দক্ষিণ কলকাতার পুজোকে জুড়ে দেবে ট্রাম। শ্যামবাজার থেকে যাত্রা শুরু করে বালিগঞ্জ ডিপোতে গিয়ে থামবে ট্রাম। যাঁরা ট্রামে চেপে ঠাকুর দেখতে চান, তাঁরা এই প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে৷ শুক্রবার নিজের দফতরের ময়দান তাঁবুতে বসে পুজো পরিক্রমা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। 

পরিবহণ মন্ত্রী জানান, এই বারে মোট ২৪টি পুজো পরিক্রমার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এর মধ্য থাকবে ২টি বনেদি বাড়ির পুজোও। এবার ট্রামে করে পুজো পরিক্রমার পরিকল্পনাও রয়েছে৷ তিনি জানান, এর জন্য জন প্রতি ৬০০ টাকা ব্যয় করতে হবে৷ শ্যামবাজার থেকে ট্রামটি ছাড়বে এসপ্ল্যানেড, কালীঘাট, গড়িয়াহাট হয়ে বালিগঞ্জ ডিপোতে পৌঁছতে। ট্রামে পর্যটকদের জন্য থাকবে বিশেষ স্ন্যাকস, চা/ কফি-সহ অন্যান্য খাবার। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী তিন দিন চলবে এই ট্রাম। যাঁরা এই প্যাকেজে নাম লেখাবেন, তাঁরা ছাড়া মাঝপথ থেকে কোনও যাত্রী সেই ট্রামে উঠতে পারবেন না। সকাল দশটায় রওনা দেবে ট্রান। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপগুলি পরিদর্শন করানো হবে।”

পাশাপাশি পুজোর সময় ভিড় সামাল দিতে যে, রাতভর বাস চলানো হবে, সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন স্নেহাশিস। তিনি বলেন,  “মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে যায় মণ্ডপ দর্শন৷ তাই ওই দিন থেকেই শহরে শুরু হয়ে যাবে রাত্রিকালীন সরকারি বাস পরিষেবা৷ মূলত শহরের যে কোন বড় রেল জংশনগুলির মধ্যে সংযোগ করবে এই বাসগুলি। রাতভর বাসে চেপে ঠাকুর দেখার পর যেকোনও বড় রেল স্টেশনে নেমে যেতে পারবে মানুষ। এছাড়াও সাধারণ মানুষ যাতে বড় বড় মার্কেটগুলিতে পুজোর শপিং করতে যেতে পারেন, তার জন্য হাওড়া স্টেশন, শিয়ালদহ স্টেশন, কলকাতা স্টেশন, সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে বিশেষ বাস ছাড়া হবে।” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *