পরিযায়ী শ্রমিকদের খোঁজ রাখেনি কেন্দ্র, সংসদে শ্রম মন্ত্রকের তথ্যে বিতর্ক

আজ থেকে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। কিন্তু লকডাউনে কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে সে সংক্রান্ত কোনও খবর নেই কেন্দ্রের কাছে। আজ, সংসদে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক তরফে বলা হয়েছে শ্রমিক মৃত্যু সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান নেই ও হিসেব করা হয়নি। সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

 

নয়াদিল্লি: আজ শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। কিন্তু লকডাউনে কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে সে সংক্রান্ত কোনও খবর নেই কেন্দ্রের কাছে। আজ, সংসদে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক তরফে বলা হয়েছে, শ্রমিক মৃত্যু সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান নেই৷ হিসেব করা হয়নি৷ সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না৷

শ্রম দফতরের এই মন্তব্যের পর, কেন্দ্র সরকার পরিযায়ীদের সমস্যা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছিল কিনা সেই নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু সরকার তরফে এই প্রশ্নের কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। মন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়ার কেবলমাত্র বলেছেন, কেন্দ্র, রাজ্য, পৌর ও পঞ্চায়েত প্রশাসন, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা একত্রিত হয়ে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করেছে।

এ বিষয়ে আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল শ্রমিক ট্রেনে যাত্রা করার সময়েই ৮০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। আজ শ্রম মন্ত্রক তরফে বলা হয় লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর মোট ১.০৪ কোটি মানুষ বাড়ি ফিরেছেন। এই সংখ্যার মধ্যে ৬০ লক্ষ মানুষই ফিরেছেন উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও রাজস্থানে। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর তাগিদে কেন্দ্র মোট ৪৬১১টি বিশেষ শ্রমিক ট্রেন চালিয়েছে। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, এই ট্রেনে করেই প্রায় ৬৩ লক্ষ শ্রমিক লকডাউনে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন।

এরপর শ্রম মন্ত্রক তরফে বলা হয়েছে, যাঁরা বাড়ি ফিরেছেন তাদের নিজ রাজ্যেই যাতে কর্মসংস্থান করা হয় সে কথা মন্ত্রক তরফে রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই সমস্ত শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সুবিধার দিকটিও বিবেচনা করেছে মন্ত্রক। কিন্তু সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিনেই, কেন্দ্রের শ্রম মন্ত্রকের কাছে অতিমারী পরিস্থিতিতে কতজন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন, তার কোনও তথ্য যে নেই, তা স্পষ্ট হয়ে গেল। যেহেতু পরিসংখ্যান নেই, নেই হিসাবও তাই ক্ষতিপূরণও দিতে হবে না কেন্দ্রকে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 4 =