‘TikTok তারকাদের টাকা দিচ্ছে সরকার, দেশের অ্যাথলিটদের বেলায় ভাঁড়ার শূন্য?’

অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করেছেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে দুবেলা দুমুঠো অন্ন জোগার করতেই সমস্যায় পড়েছেন অভাবী এই তরুনী। তিনি জানিয়েছেন,গত মার্চ মাসে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চাকরি দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ এখন সেই কথা সরকার ভুলে গিয়েছেন। সত্যিই তো, অ্যাথলিটরা আর কী বা করেন দেশের জন্যে!

 

পাঞ্জাব: এক অনন্য ছবি দেখা যাচ্ছে দেশের রাজনীতি তথা সমাজ জীবনে। যা কিছু ভাল তা ভুলতে বসেছে মানুষ। রক্ষণশীলতার তকমায় দেশের সংস্কৃতিকে ছোট করতেও ছাড়েনি৷ তেমনই আরেকটি চিত্র দেখা গেল পাঞ্জাবে। পাঞ্জাব সরকার কর্তৃক টিকটক স্টারদের অর্থ সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। এদিকে দেশের নামোজ্জ্বল করা অ্যাথলিটদের দিকে ফিরেও তাকান না সরকার। তেমনই একজন অ্যাথলিট টোকিও অলিম্পিকে কোয়ালিফায়ার বক্সার সিমরণজিত। তাঁকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভুলেছে সরকার, লকডাউনের জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

চিনের সঙ্গে সাম্প্রতিককালে ভারতের বিবাদ ঘটায় বন্ধ হয়েছে একাধিক অ্যাপ। আইপিএলের স্পনসরশিপ থেকেও বাদ গিয়েছে চিনা সংস্থা ভিভো'র নাম। অথচ সেই চিনা অ্যাপ টিকটক খ্যাতদের নগদ দান করছেন পাঞ্জাব সরকার। কিন্তু বিদেশে ভারতকে তুলে ধরা অ্যাথলিটদের সাহায্য করার সময়েই সরকারের কোষাগারে টান পড়ে। ‘চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছি, একটা চাকরির খুব দরকার আমার’, এমন করুন ভাবেই এক সাক্ষাতকারে জানালেন সিমরণজিত কাউর।

অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করেছেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে দুবেলা দুমুঠো অন্ন জোগার করতেই সমস্যায় পড়েছেন অভাবী এই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন,গত মার্চ মাসে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চাকরি দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ এখন সেই কথা সরকার ভুলে গিয়েছেন। সত্যিই তো, অ্যাথলিটরা আর কী বা করেন দেশের জন্য! সেই তো ভিন দেশে গিয়ে সাঁতার কাটেন কিংবা দৌড়ে বেরান! তাই তাঁদের কথা ভেবে কী লাভ সরকারের! বরং হাতে থাকা স্মার্ট ফোন খুললে যাঁরা অপসংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেন, যাঁরা সকলের 'মনোরঞ্জন' করে বেরান, কোনও লোভ ছাড়াই, তাদেরকে আর্থিক সুবিধা দেওয়াই যায়! আধুনিকতার চরম পর্যায় বোধ হয় এটিই।

সিমরণজিতের বলেছেন, ‘‘আমি তো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না, সরকার কী ভাবছে। আমাকে বলা হয়েছিল পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে, কিন্তু বর্তমানে সেই নিয়ে আর কেউ কোনও কথা বলছে না। নিজের খাওয়ার ভাতটুকু জোগার করতে পারছি না, অলিম্পিকের জন্য কীভাবে তৈরি হব?’ এরপরেই তাঁর একটি চাকরি খুব দরকার বলে করুন অভিমত প্রকাশ করেন টোকিও অলিম্পিকে কোয়ালিফায়ার বক্সার সিমরণজিত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + three =