governor
নয়াদিল্লি: তাঁরা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নন৷ তাই বিধানসভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের উপরেও তাঁদের খবরদারি করাটা শোভা পায় না৷ সেই কথাটাই এবার রাজ্যপালদের মনে করিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রতিনিধি হয়ে আসা রাজ্যপালদের সঙ্গে প্রায় প্রতিটি অবিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকারের দ্বন্দ্বের সুর যখন সপ্তমে চড়েছে, তখন সুপ্রিম মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে নবান্ন-রাজভবন সংঘর্ষের কথা কারও অজানা নয়৷ রাজ্য সররকারের সঙ্গে সংঘাতের জেরে বিধানসভায় পাশ হওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেননি রাজ্যপাল। সাক্ষর না করে ফাইল ঝুবলিয়ে রেখেছেন সি ভি আনন্দ বোস৷ এমতাবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সোমবার বলে, বিষয়টি আদালতে পৌঁছনোর আগেই রাজ্যপালের উচিত রাজ্য আইনসভায় অনুমোদন হয়ে আসা সিদ্ধান্তগুলিতে সিলমোহর দেওয়া৷
পঞ্জাবে আম আদমি পার্টির সরকার রয়েছে৷ সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানের সঙ্গে রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন বিজেপি নেতা বানোয়ারীলাল পুরোহিতের সঙ্ঘাত চরমে উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টে পঞ্জাব সরকারের তরফে নালিশ জানায়, বিধানসভায় পাশ হওয়া বেশ কয়েকটি বিলে সিদ্ধান্ত না নিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন। এ দিন মামলাটি ওঠার পরে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ জানিয়ে মামলা করেছে কেরল ও তামিলনাড়ুর সরকার। প্রধান বিচারপতি বলেন, “রাজ্যপালদের সামান্য একটু আত্মনুসন্ধান প্রয়োজন। তাঁদের মনে রাখতে হবে, রাজ্যপাল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। বিধানসভায় কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তা গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।”