governor
কলকাতা: দেশের অন্যতম এলিট ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে চেপে শুক্রবার সকালে মালদহে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দেখা গেল যান্ত্রিক গোলযোগ৷ যার জেরে হাওড়া স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়তেই পারল না হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতে এক্সপ্রেস৷ যার জেরে আটকে পড়েন রাজ্যপাল৷ বিপাকে পড়েন বাকি যাত্রীরাও৷ এদিকে, ট্রেন না চলায় শুরু হয় যাত্রী বিক্ষোভ৷ অতঃপর বিকল্প ট্রেনের বন্দোবস্ত করে রেল। এরপর নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পরে অর্থাৎ সকাল সাতটা নাগাদ বিকল্প ট্রেনে চেপে মালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাজ্যপাল বোস।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ে হাওড়া থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছাড়তে পারেনি। তিনি বলেন, ‘‘যাত্রীদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় তাই বিকল্প ট্রেনে করে তাঁদের পাঠানো হয়েছে।” বন্দে ভারতের গতিতেই চলবে ওই ট্রেন৷
বুধবার মিজোরামের আইজলে আচমকাই ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান রেল সেতু। সেই সময় কাজ করছিলেন শ্রমিকরা৷ মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বাংলার ২৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের। তাঁরা সকলেই মালদহের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে ১১ জনের বাড়ি রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের চৌদুয়ার গ্রামে। এছাড়া ইংরেজবাজার, কালিয়াচক এবং গাজলেরও কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন৷ মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই শুক্রবার সকালে বন্দে ভারতে করে মালদহ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল৷ কিন্তু যাত্রা শুরুর আগেই ঘটে বিপত্তি৷ যদিও শেষমেষ তিনি রওনা দিয়েছেন৷