নয়াদিল্লি: বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে অনেক সময় অসম্মতি জানান রাজ্যপাল, সেই সব বিল আটকে রাখার অভিযোগও রয়েছে ভূরি ভূরি৷ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২২টি বিল আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্ট জানাচ্ছে, অসম্মতি থাকলেও বিলটি ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন না রাজ্যপাল। অবিলম্বে পুনর্বিবেচনার জন্য বিধানসভায় সেই বিলটি ফেরত পাঠাতে হবে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিয় কোর্টের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতির ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
সংবিধানের ২০০ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখিত এই বিষয়টি নিয়ে সামান্য বিভ্রান্তি ছিল। বিচারপতিরা সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে দিয়েছেন৷ সংবিধানে বলা হয়েছে, কোনও বিল এলে রাজ্যপালের সামনে তিনটি পথ রয়েছে। প্রথমত, তিনি বিলে সম্মতি প্রকাশ করতে পারেন৷ দ্বিতীয়ত, তিনি অসম্মতি জানাতে পারেন এবং তৃতীয়ত, বিলটি রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য রেখে দিতে পারেন। অসম্মতি প্রকাশের ক্ষেত্রে বিলের যে অংশগুলি পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন বলে রাজ্যপাল মনে করছেন, সেগুলি উল্লেখ করে বিলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে পারেন। তবে বিধানসভা যদি বিলটি অপরিবর্তিত রেখে ফের রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেয়, তাহলে তিনি তাতে সই করতে দিতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু অসম্মতি থাকলে রাজ্যপাল বিলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে বাধ্য কি না, সেই বিষয়টিই স্পষ্ট ছিল না। সেই অংশের ধোঁয়াশা কাটিয়ে আদালত জানাচ্ছে, কোনও বিলে তিনি অসম্মতি প্রকাশ করলে তিনি তা আটকে রাখতে পারবেন না। অবিলম্বে বিলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠিয়ে দিতে হবে৷