কলকাতা: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়ে নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল তরজা তুঙ্গে৷ বৃহস্পতিবার রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এখন উপাচার্যহীন, সেখানে রাজ্যপাল তথা আচার্য নিজেই উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। বোসের এই সিদ্ধান্ত তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘‘বাংলার প্রবাদকেই তিনি মান্যতা দিলেন। যাহা চালভাজা, তাহাই মুড়ি। যিনি আচার্য, তিনিই উপাচার্য।’’ এই বিষয়ে আইনি পথে হাঁটার পরিকল্পনাও করছে রাজ্য৷
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকা নিয়ে রাজ্যপালের সমালোচনা করেন ব্রাত্য। তিনি বলেছিলেন, ‘‘উপাচার্য নিয়োগ করে এবং না করে—দু’ভাবে নৈরাজ্য তৈরি করা হচ্ছে।’’ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশায়ারি দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘কোন আইনের বলে উনি এটা করলেন আমি জানি না। এই বিষয়ে মহামান্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’’
ব্রাত্য বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। যিনি আচার্য, তিনিই আবার উপাচার্য। যাহা চালভাজা তাহাই মুড়ি! কোন আইনের বলে তিনি এমন করছেন, তা আমার মাথায় ঢুকছে না। আমরা আইনি পথে যাওয়ার কথা ভাবছি।’ তবে রাজকুমার কোঠারির নিয়োগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি শিক্ষামন্ত্রী।
রাজ্যের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন উপাচার্য নেই৷ ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আচার্য নিজেই সেই দায়িত্ব পালন করবেন বলে রাজভবনের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই সব বিশ্ববিদ্যালগুলিতে ছাত্রছাত্রীরা নানা ধরনের অসুবিধায় পড়ছেন, উপাচার্য হিসাবে রাজ্যপাল দ্রুত তা সমাধানের চেষ্টা করবেন। শিক্ষামহলের অনেকেই রাজ্যপালের এই ভূমিকায় অসন্তুষ্ট। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যপাল উচ্চশিক্ষায় নিজের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছেন।