কলকাতা: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে তৃণমূল। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। মামলাটি করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি সুদীপ রাহা। এই মামলায় পার্টি করা হয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে৷ এই মামলায় পার্টি হলেন তিনি৷
এই মামলায় আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন বলে কিছু নেই। সিসি ক্যামেরা বসানো হলেও ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। অবাধে বাইরের ছেলেমেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ছে। যেন ট্যুরিস্টদের জায়গা৷ এর পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালকে নিশানা করে কল্যাণ বলেন, “আচার্যের কাজ কেবল উপাচার্য নিয়োগ করা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দিকেও তাঁর নজর থাকা উচিত।”
তাঁর অভিযোগ, “বিশ্ববিদ্যালয়ে রীতিমতো ব়্যাগিং চলে। ক্যাম্পাসে মাদক দ্রব্য, ড্রাগের অবাধ ব্যবহার৷ বিশ্ববিদ্যালয়টা যা খুশি করার জায়গায় পরিণত হয়েছে।” এই প্রতিষ্ঠান যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়, তার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের কৌঁসুলী৷ কেন রাজ্যপালকে মামলায় পার্টি করা হল তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য৷ তিনি ইচ্ছে করেই সহ উপাচার্য নিয়োগ করছেন না৷ সেই জন্য রাজ্যপালকেও মামলায় পার্টি করা হয়েছে।”
জনস্বার্থ মামলায় মূলত তিনটি আবেদন জানানো হয়েছে। এক, ইউজিসি-র নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে, সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। দুই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। তিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য ডিজিটাল পরিচয়পত্র তৈরি করতে হবে৷ বাইরে থেকে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে তাঁর নাম নথিভুক্ত করে ঢুকতে হবে।